বার্সেলোনা ছাড়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই নতুন ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন লিওনেল মেসি। ফরাসি জায়ান্টদের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেছেন তিনি। তবে ক্লাব ও মেসি উভয়ে চাইলে চুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর বৃদ্ধি করতে পারবেন। বছরে বেতন-ভাতা সব মিলিয়ে মোট ৩৫ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা) বেতনে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে দলে ভিড়িয়েছে লিগ ওয়ানের ক্লাবটি। তবে মেসির সপ্তাহিক আয় কত হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
মেসির মোট আয়ের হিসেবে তিনি সপ্তাহে ৭ লাখ ২৯ হাজার ইউরো বেতন পাবেন ক্লাব থেকে, যা বাংলাদেশি টাকায় (৭ কোটি ২৫ লাখ ৫ হাজার)। সেই হিসেবে ক্লাব থেকে তিনি প্রতিদিন আয় করবেন এক লাখ চার হাজার ইউরো বা ১ কোটি ৩ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।
২০১৭ সালে রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে পিএসজিতে যোগ দেন নেইমার। তারপর থেকেই ক্লাবটির প্রাণভোমরা হয়ে আছেন তিনি। ২০১৯-২০ মৌসুমে পিএসজি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠার পেছনে তার অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। লিগ ওয়ানে মেসির আগে সবচেয়ে বেশি বেতনভুক্ত ফুটবলার ছিলেন নেইমার। মেসি আসায় সেটা কিছু কম হচ্ছে। এর পেছনে কারণও আছে। নতুন চুক্তিতে ৩১ মিলিয়ন ইউরোতে পিএসজির সঙ্গে আরও চার বছর বাড়ান তিনি। সে হিসেবে তার মাসিক আয় ২৯ কোটি টাকার মতো, যা সপ্তাহিক হিসেব করলে প্রায় ছয় কোটির মতো পড়ে।
নেইমার-মেসির আরেক সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপে। ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার দীর্ঘদিন ধরেই নেইমারের সঙ্গে জুটিবদ্ধ। পিএসজিতে তার বর্তমান বেতন কাঠামো হিসেবে মাসিক ১৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আয় করেন তিনি। নতুন করে চুক্তি বাড়াতে তোড়জোড় চলছে। যদি তাই হয় তবে মেসি-নেইমারদের কাছাকাছি পারিশ্রমিক পাবেন তিনি।
এ ছাড়াও পিএসজির রক্ষণ সামানো ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্কুইনহোসের মাসিক বেতন ১২ কোটি টাকা। সমান সংখ্যক বেতনে পিএসজিতে খেলে থাকেন ইতালিয়ান মিডফিল্ডার ও ইউরো চ্যাম্পিয়ন মার্কো ভেরাত্তি। আর্জেন্টাইন দি মারিয়া পান ১০ কোটি ৭৫ লাখ। এদিকে চলতি মৌসুম রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে পিএসজিতে আসা সের্হিও রামোস পাবেন প্রায় ১০ কোটি টাকা।