জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের শুনানিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত ৩০ জন করে মোট ৬০ জন আইনজীবীকে উপস্থিত থাকাতে বলেছে আপিল বিভাগ। উভয় পক্ষের কয়েকশ’ আইনজীবী আদালতে উপস্থিত থাকায় অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম এবং খালেদা জিয়ার আইনজীবি খন্দকার মাহবুবকে এজলাসে আইনজীবিদের উপস্থিতি থাকার সংখ্যা সীমিত করে নির্দেশনা দেয়া হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনেরসভাপতিত্বে আপিল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতেই খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত শত শত আইনজীবীকে কোর্টে ঢুকতে দেয়া হলেও বিএনপি সমর্থিতদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এ সময় তিনি ভারতের সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের উদাহরণ টেনে বলেন, এ শুনানিতে আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত থাকতে পারেন। এজলাশে আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীদের ঢুকতে দেয়া হলেও আমাদের (খালেদা জিয়া) আইনজীবিদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেলও পাল্টা বক্তব্য দেন। এরই ধারাবাহিকতায় আদালত এজলাস কক্ষে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের প্রবেশাধিকার সীমিত করে উভয় পক্ষের ৩০-৩০ করে মোট ৬০ জন আইনজীবীকে এজলাসে থাকার অনুমতি দিয়ে কোর্ট উঠে যায়। খালেদা জিয়ার মামলার শুনানি ১২ নম্বরে থাকায় আগের মামলাগুলোর শুনানিতে অংশ নেয় কোর্ট।
এদিকে, আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে প্রবেশে বাধা দেয়ার অভিযোগ আজও আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল দেখা যায়। কোর্টের নির্দেশনায় উভয় পক্ষের আইনজীবীরা এজলাস কক্ষে ঢুকতে থাকেন।
এ দিকে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের এক নম্বর আদালত কক্ষে আটটি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।বুধবার সকালে প্রথমবারের মতো সিসি ক্যামেরার আওতায় আপিল বিভাগের বিচারকাজ শুরু হয়। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।