কিংবদন্তি ফুটবলারদের একজন হতে পারতেন। কিন্তু তা আর হলেন কই, লোভে পড়ে নিজের ক্যারিয়ারটাই নষ্ট করলেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার অ্যান্ডারসন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক এই ফুটবলারকে নিয়ে তারই স্বদেশি সতীর্থ ব্রাজিলিয়ান রাইটব্যাক রাফায়েল এমনই এক মন্তব্য করেছিলেন।
২০০৭ সালে ম্যান ইউতে তাকে ভিড়ান কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসন। ধরেই নিয়েছিলেন ভবিষ্যতে ইংলিশ লিগে অন্যতম সেরা একজন হতে যাচ্ছেন অ্যান্ডারসন। কিন্তু না, তা হয়নি। সব সম্ভাবনাই নষ্ট করে দিলেন তিনি। প্রবল আশা জাগানো এই ফুটবলারের বিরুদ্ধে উঠেছে টাকা চুরির অভিযোগ!
জানা গেছে, তিনি নাকি আটজনের একটা দল বানিয়ে ২০২০ সালের এপ্রিলে ব্রাজিলিয়ান এক ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্ম থেকে ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ৪৭ কোটি টাকা) চুরি করেছিলেন। মামলার তথ্য অনুযায়ী, ওই অর্থ ব্রাজিলের চারটি ভিন্ন রাজ্যের ১১টি ব্যাংক হিসাবে পাচার করা হয়। এরপর দেশে-বিদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনে ওই অর্থ পাচার করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, এই আটজনের গ্রুপ অবৈধভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনে অর্থ পাচারও করেছে।
২০০৪ সালে ব্রাজিলের ক্লাব গ্রেমিওতে অভিষেক হয়েছিল অ্যান্ডারসনের। এরপর তিনি কিছুদিন পর্তুগালের ক্লাব পোর্তেতে খেলেছেন। ২০০৭ সালে তাকে কিনে নেয় ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু সেখানে ৮ বছরে মাত্র ১০৫ ম্যাচ খেলতে পেরেছেন। গোল করেছেন পাঁচটি। ব্রাজিলের হয়ে সব মিলিয়ে মাত্র ৮ ম্যাচ খেলা অ্যান্ডারসন ২০০৭ কোপাজয়ী ব্রাজিল দলে ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছে রিও গ্রান্দে দে সুল রাজ্যের কৌঁসুলি। তদন্তের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ক্রিপ্টো-শো’।