জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ২৬ মিনিটে নিউইয়র্কে জন এফ. কেনেডি বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
এর আগে নিউইর্য়কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে শুক্রবার সকাল ৯টা ২৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৯০১ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। ওইদিন স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিটে ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি ভানতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান শেখ হাসিনা।
ফিনল্যান্ডে যাত্রাবিরতি শেষে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৯০২ ফ্লাইটে নিউইর্য়ক যান প্রধানমন্ত্রী। নিউইয়র্কে বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী সফরকালীন আবাসস্থল লোটে নিউইর্য়ক প্যালেস হোটেলে যান।
আজ সোমবার নিউইয়র্ক সময় সকাল ৯টায় রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের অংশগ্রহণে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। বেলা সাড়ে ১১টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের উত্তরের লনে বাগানে বৃক্ষরোপণ ও একটি বেঞ্চ উৎসর্গ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেখ হাসিনা তার সফরকালীন আবাসস্থলে ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের সভাপতি চার্লস মিশেলের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিকেল পৌনে ৩টায় একই স্থানে বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোটলির সঙ্গে বৈঠক করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেল ৪টায় সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশন নেটওয়ার্ক শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। এদিন বিকেলে সফরকালীন আবাসস্থলে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় সফরকালীন আবাসস্থল থেকে ‘হোয়াইট হাউজ গ্লোবাল কোভিড-১৯ সামিট: ইন্ডিং দ্য প্যানডেমিক অ্যান্ড বিল্ডিং ব্যাক বেটার’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।
দুপুর ১২টার দিকে নেদারল্যান্ডসের রানী ম্যাক্সিমার সঙ্গে বৈঠক করবেন সরকার প্রধান। বিকেলে ‘রোহিঙ্গা সংকট: টেকসই সমাধান অত্যাবশ্যক’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে (ভার্চ্যুয়াল) অংশ নেবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় ‘ইভেন্ট অব লিডারস নেটওয়ার্ক অন ডেলিভারিং অন দ্য ইউএন কমন এজেন্ডা: অ্যাকশন টু অ্যাচিভ ইকুয়্যলিটি অ্যান্ড কনক্লুশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
দুপুর ১টায় জাতিসংঘ মহাসচিবের সভাপতিত্বে ‘ফুড সিস্টেমস সামিট অ্যাজ পার্ট অব দ্য ডিকেড অব অ্যাকশন টু অ্যাচিভ দ্য সাসটেইবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজিএস) বাই ২০৩০’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দেবেন তিনি। এদিন দুপুরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পর্যায়ক্রমে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস ও ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি নগুইয়েন জুয়ান ফুতের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এদিন দুপুরে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। রাত ৮টায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেবেন তিনি।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নিউইর্য়ক থেকে ওয়াশিংটন যাবেন শেখ হাসিনা। ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করবেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারল্যান্সের ভিভিআইপি ফ্লাইট বিজি-১৯০৪ যোগে ফিনল্যান্ডের হেলসিংকির উদ্দেশে ওয়াশিংটন ছাড়বেন শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৮টায় হেলসিংকির ভানতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। পৌনে ১০টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারল্যান্সের বিজি-১৯০৫ ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন সরকারপ্রধান। শুক্রবার রাত সোয়া ১০টায় তার দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।