মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমরা ছিলাম গণতন্ত্রের অস্ত্রাগার, এবার যুক্তরাষ্ট্র হবে টিকার ভাণ্ডার। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন আগামী বছর থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ৫০ কোটি ডোজ ফাইজারের টিকা দেবে ওয়াশিংটন। এ সময় কোভিড-১৯ টিকার ১ বিলিয়ন ডোজের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ঘোষণা দেন তিনি। বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকের পর কোভিড-১৯ ভার্চুয়াল সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। এএফপি।
বাইডেন বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই ১৬ কোটি ডোজ টিকা ১০০টি দেশে পাঠিয়েছি। আমাদের লক্ষ্যমাত্রার বাকি টিকা মধ্য ও নিুআয়ের দেশগুলোতে পাঠানো হবে।’ হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিটি দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে বিশ্বনেতাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তার ওই বক্তব্যের পর, স্পেন ৩ কোটি টিকা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। জাপান বলেছে, তারাও দেবে আরও ৬ কোটি ডোজ টিকা। এদিকে বিশ্বের ধনী দেশগুলোকে বুস্টার ডোজ না-দিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের অনুরোধ সত্ত্বেও বুধবার বয়স্ক এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য বুস্টার ডোজ টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ওয়াশিংটন প্রমাণ করছে, অন্যদের সহযোগিতার পাশাপাশি আপনাকে নিজের যত্নও নিতে হবে।’ জাতিসংঘ অধিবেশনে মঙ্গলবারের উদ্বোধনী বক্তৃতায় বাইডেন বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে ওয়াশিংটনের খরচ হয়েছে ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, পৃথিবীর ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে ১১ বিলিয়ন ডোজ টিকার প্রয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ বছরের শেষের দিকে প্রতিটি দেশের অন্তত ৪০ শতাংশ টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছে। তবে ভ্যাকসিন সংকট বৃদ্ধি পাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ধনী দেশগুলো ইতোমধ্যে তাদের জনগোষ্ঠীর অর্ধেকেরও বেশি অংশকে অন্তত এক ডোজ টিকা দেওয়া শেষ করেছে। অথচ নিুআয়ের দেশগুলো তাদের জনগোষ্ঠীর ২ শতাংশকে মাত্র এক ডোজ টিকা দিতে সক্ষম হয়েছে।