রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন

সরকারি কর্মচারী গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতির বিধান নিয়ে হাই কোর্টের প্রশ্ন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১৩৯ বার

আদালতে অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার আগে ফৌজদারি মামলায় সরকারি কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করতে হলে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নিতে হবে, সরকারি চাকরি আইনের এমন বিধান কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।

২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ৪১ (১) ও ৩ ধারার বৈধতা নিয়ে কুড়িগ্রামের স্থানীয় সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিটটি করেন। ৩ ধারায় আইনের প্রাধান্য বিষয়ে এবং ৪১ ধারায় ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যবস্থাদি সম্পর্কে বলা আছে।

আইনের ৪১ (১) ধারা বলছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগে দায়ের করা ফৌজদারি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার আগে তাকে গ্রেপ্তার করতে হলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আজিজুর রহমান দুলু, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

আরিফুল একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি। গত বছরের ১৩ মার্চ মধ্যরাতে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান। তখন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, মাদকবিরোধী অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ৪৫০ গ্রাম দেশি মদ ও ১০০ গ্রাম গাঁজা পাওয়ায় এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আরিফুল জামিনে মুক্তি পেয়ে কুড়িগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন, আরডিসি নাজিম উদ্দিন, সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা, এস এম রাহাতুল ইসলামসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

আইনজীবী মো. আজিজুর রহমান বলেন, ফৌজদারি মামলাটি তদন্তাধীন। তবে সুলতানা পারভীনসহ অন্যরা জামিন নেননি। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, এসব কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের আগে অনুমতি লাগবে। এমনকি এস এম রাহাতুল ইসলামকে ইতিমধ্যে বরিশালে পদায়ন করা হয়। এ অবস্থায় আইনের ৩ ও ৪১ (১) ধারা চ্যালেঞ্জ করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পদায়ন ও অন্যদের পদায়ন না করতে ওই রিটটি করা হয়।

রুলে ফৌজদারি মামলা থাকা কুড়িগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন, সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাজিম উদ্দিনকে পদায়ন না করতে যথাযথ নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং এস এম রাহাতুল ইসলামকে বরিশালে সহকারী কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com