প্রকাশিত রাজাকারদের তালিকা নিয়ে একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে দাবি করে মাগুরার সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর বলেন, ‘বর্তমানে সারাদেশে রাজাকারদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেটি পাকিস্তানিদের নিজেদের করা। এই তালিকা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় কিংবা আওয়ামী লীগ করেনি।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিরা রাজাকারদের ভাতা দেবার জন্য প্রতিটি থানায় তালিকা করেছিল। তালিকাভুক্তরা হচ্ছে পাকিস্তানিদের ভাতাপ্রাপ্ত সেই সব রাজাকার।’
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তান সরকারের করা ভাতাপ্রাপ্ত রাজাকারদের তালিকা মাগুরার থানাগুলো থেকে গায়েব হওয়ার অভিযোগও করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই এমপি।
মঙ্গলবার বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুজ্জামান শিখর বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য মাগুরায় এই তালিকা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। স্বাধীনতা বিরোধীরা তাদের সরকার আমলেই এটি থানা থেকে গায়েব করে দিয়েছে। তালিকা সন্ধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মাগুরা পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান বলেন, ‘প্রশাসনিকভাবে চিঠি পেলে আমরা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোল্লা নবুওয়াত আলী বলেন, ‘মাগুরা সদর উপজেলার রাজাকার আল বদরদের তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে অনেক আগেই জমা দেয়া হয়েছে। অন্য তিন উপজেলা থেকে তালিকা পাওয়া যায়নি। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ ইউএনবি