ব্রাহ্মণবাড়িযার নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের দাররা গ্রামের আবদুল হালিম মিয়ার ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী রবিন আহমেদ জামাল(৪০) রোববার সকালে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। বুধবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের একটি জলাশয় থেকে রবিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দুজন আটক হয়েছেন।
জানা যায়, সৌদি আবর প্রবাসী রবিন গত ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশে আসেন ৬ মাসের ছুটিতে। স্ত্রী নাসরিন আক্তার ও দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন টঙ্গীর এরশাদ নগরের চাংকির পাড় এলাকায়। গত রোববার সকালে বাসা থেকে ব্যাংকের উদ্দেশে বের হয়েছিলেন রবিন। দুপুর দুইটা পর্যন্ত স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় রবিনের। এরপর বিকেল গড়িয়ে রাত হয়, কিন্তু তারপরও স্বামী ঘরে ফিরছিলেন না। মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এদিক সেদিক বহু খোঁজাখুঁজির পর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন রবিনের স্ত্রী।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, জিডি করার পরপরই পুলিশ রবিনকে খুঁজতে থাকে। এর মধ্যে মঙ্গলবার সকালে তার স্ত্রী এসে জানান রবিনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা তোলা হয়েছে। এই কথার সূত্র ধরে রাজধানীর উত্তরখান, গাজীপুরের বোর্ডবাজার ও গাজীপুরের তিনটি এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর বুথগুলোর থেকে সিটি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে ওই দিন রাতে টঙ্গী এলাকা থেকে সোহেল ও কায়সার নামের দুজনকে আটক করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য মতে সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ডেনুপুর গ্রামের একটি জলাশয় থেকে ফ্রিজের ভেতর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রবিনের লাশ উদ্ধার হয়। ধারণা করা হচ্ছে বুথগুলো থেকে টাকা তোলার পর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আটককৃত দুজনের মধ্যে সোহেলের বাড়ি কালিয়াকৈর ও কায়সারের বাড়ি টঙ্গীতে। এর সঙ্গে আরো কেউ জড়িত কি না, তা তদন্ত চলছে। স্বামীর মৃত্যুর খবর শোনার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন স্ত্রী নাসরিন আক্তার। রবিনের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।