কংগ্রেসের কাজে বাঁধা দেয়া ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে বুধবার মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে এক ঐতিহাসিক ভোটে অভিশংসনের শিকার হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তার বিরুদ্ধে আনীত দুটি অভিযোগকেই গুরুত্বর হিসেবে আখ্যায়িত করছেন বিরোধীদল ডেমোক্র্যাট এমপিরা। নিম্নকক্ষে রয়েছে বিরোধীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা। তাই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রস্তাবটি সহজেই পাস হয়েছে।
তবে নিম্নকক্ষে পাস হওয়া মানেই পদ ছাড়তে হবে এমনটি নয়। প্রস্তাবটি এখন যাবে উচ্চকক্ষ সিনেটে। সেখানে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানদেরই সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তাই শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প বেঁচেও যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাতে আগেও দুই প্রেসিডেন্ট নিম্নকক্ষে অভিশংসিত হলেও উচ্চকক্ষ সিনেটে গিয়ে আটকে গেছে বিষয়টি।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগটি ছিল আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রবীণ রাজনীতিবিদ জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তে ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে চাপ দেয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এটা ছিল তার বিরুদ্ধে আনীত প্রথম অভিযোগ।
সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পের ফাঁস হওয়া ফোনালাপে দেখা যায়, সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রীতিমতো চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প। ওই ফোনালাপের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদস্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করার পর ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবি সামনে আসে। তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে তদন্ত শুরু করে ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ।
দ্বিতীয় অভিযোগেও তার অভিশংসনের পক্ষে বেশি ভোট পড়েছে। এই অভিযাগটি হচ্ছে, ইউক্রেনের সঙ্গে ট্রাম্পের দেনদরবার নিয়ে কংগ্রেসের তদন্তে তিনি বাধা দিয়েছেন।