সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর বিতর্ক যেন হাত ধরাধরি করে চলে। ক্ষমতা থাকতে সমালোচনা, বিতর্ক ছিল তার নিত্যসঙ্গী। এখন ক্ষমতা ছাড়ার পরও বিতর্ক তার পিছু ছাড়েনি। বেশ কিছুদিন থেকে শোনা যাচ্ছিল ট্রাম্প নতুন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম নিয়ে আসছেন। ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ নামে সেই প্ল্যাটফরম আসতে না আসতেই তার বিরুদ্ধে আইন ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। খবর এনডিটিভি।
ওয়েবসাইটটির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি ওয়েবসাইটি পরীক্ষামূলক সংস্করণ আনার মধ্য দিয়ে লাইসেন্সিং চুক্তি লঙ্ঘন করেছে ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ (টিএমটিজি)। ‘সফটওয়্যার ফ্রিডম কনসারভেন্সি’ (এসএফসি) এ অভিযোগ করেছে। বিষয়টি শোধরানোর জন্য ৩০ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
খবরে বলা হয়, ট্রুথ সোশ্যাল ওয়েবসাইটটি চলছে বিনামূল্য ও উন্মুক্ত সোর্স প্ল্যাটফরম ‘মাস্টডন’-এর একটি পরিবর্তিত সংস্করণের ওপর নির্ভর করে। এর ফলে যে কেউ মাস্টডনের কোড তত্ত্বাবধায়ক ‘এজিপিএলভি৩’-এর সব নিয়ম প্ল্যাটফরমটি ব্যবহার করতে পারবে। এ রকমই এক নিয়মে বলা হয়েছে, লাইসেন্স গ্রহীতাদের সব ব্যবহারকারীর সঙ্গে ‘সোর্স কোড’ শেয়ার করতে হবে। কিন্তু ট্রাম্পের ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ এখনো তা করেনি। এখন ‘ওপেন সোর্স সফটওয়্যার লাইসেন্স’ প্রয়োগকারী সংস্থা ‘সফটওয়্যার ফ্রিডম কনজারভেন্সি’ (এসএফসি) সাফ জানিয়ে দিয়েছে, টিএমটিজির হাতে ৩০ দিন সময় আছে ‘এজিপিএলভি৩’ মানার। তা না হলে তাদের জটিলতার মুখোমুখি হতে হবে। এসএফসি জানিয়েছে, লাইসেন্সটি পরিষ্কারভাবেই সবাইকে সমান হিসেবে বিবেচনা করে (এমনকি যাদের আমরা পছন্দ করি না, তাদেরও)। কিন্তু তাদেরও অন্য সবার ওপর প্রয়োগ হয় এমন কপিলেফট লাইসেন্সের নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হয়। এখন টিএমটিজি যদি ৩০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তা হলে সাইট তৈরিতে ব্যবহৃত সফটওয়্যারে প্রবেশাধিকার হারাবে তারা।