দেশের ফ্যাশন সচেতন মানুষদের বর্তমানে পছন্দের নাম ‘সারা লাইফস্টাইল’। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা চিন্তা করে ‘স্নোটেক্স গ্রুপ’ নিয়ে এসেছে তাদের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান। কম দামে ভালো মূল্যে বিভিন্ন ধরনের পোশাক দিচ্ছে সারা। দেশীয়, আন্তর্জাতিকের মিশেলে স্বল্প মূল্যে ফ্যাশন হাউজটি থেকে নিজেদের পছন্দের পোশাক কিনছেন সব বয়সের মানুষ।
সম্প্রতি সারা লাইফস্টাইল ও তাদের প্রধান কোম্পানি স্নোটেক্স গ্রুপের কার্যালয় ও ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করতে যাই। মিরপুর ডিওএইচএসের প্রতিষ্ঠান দুটির প্রধান কার্যালয়। প্রথমে গেলাম সারা’র কার্যালয়ে। অভ্যর্থনা জানালেন প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ রাহাত অয়ন। তার কাছ থেকে জানতে চাইলাম কী কী লক্ষ্যে তারা কাজ করছেন।
রাহাত জানালেন, তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাহকদের মুখে হাসি ফোটানো। কম মূল্যে ভালো মানের পণ্য তাদের হাতে তুলে দেওয়াসহ একটা আস্থার জায়গা তৈরি করা। বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশি পণ্যগুলোও সমাজের বিভিন্ন স্তরে পৌঁছে দিতে চান তারা।
সারার কার্যালয়ের প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শরীফুন্নেসা একজন নারী উদ্যোগতাও। তিনি সারা স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম খালেদের স্ত্রী। নিজ কর্মে সফল এই ব্যবসায়ীর কাছে তার প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে জানতে চাইলাম। একজন মা যখন ব্যবসায়ী হন, তার মায়াগুলো থাকে অন্যান্যদের জন্য।
সারাকে নিয়ে তার লক্ষ্য কী প্রশ্ন করতেই শরীফুন্নেসা বললেন, ‘সমাজের সকল শ্রেণির মানুষ যাতে আমাদের পণ্য কিনতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখছি। একজন নারী যখন মা হন, সন্তানের খেয়াল যেভাবে রাখেন- ঠিক সেভাবেই সারাকে বড় করছি আমরা। সারার পোশাকের মান নিয়ে আমরা কোনো ছাড় রাখতে চাই না। গাছ বড় করতে যেমন মাটি, পানি, সার দরকার হয়, ক্রেতারাও আমাদের কাছে তা-ই। গ্রাহকরা খুশি হলে আমরা আরও বড় হতে পারবো। আর দামের ক্ষেত্রে- সবার আগে আমাদের চিন্তা আসে সমাজের শ্রেণিগুলো। কারণ, পোশাকগুলো তো তাদের জন্যই।’
সারার সহকারী পরিচালক (অপারেশন) মো. মতিউর রহমানের সঙ্গে পরিচিত হলাম। জানতে চাইলাম কীভাবে কাজ করছেন এই প্রতিষ্ঠানে। মতিউর জানালেন, তার টিমের সকলেই তরূণ ও উদ্যমী। ২০১৮ সাল থেকে তাদের সঙ্গে নিয়েই কাজ করছে সারা। তারাই নিজ নিজ কর্মদক্ষতায় সারাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মতিউর বলেন,‘আমরা যতদূর এখন পর্যন্ত আসতে পেরেছি, এতে সন্তুষ্ট। আমরা ভালো করছি, ভবিষ্যতে আরও ভালো করবো।’
সারার বিজনেস পলিসি সম্পর্কে জানতে চাইলে মতিউর বলেন, ‘আমরা সবসময় মার্কেট অ্যানালাইজ করি। এতে গ্রাহকদের ভালো সাড়া পাচ্ছি। বন্ধুত্বপূর্ণভাবে মার্চেন্ডাইজার ও ডিজাইনার টিম মিলে কাজ করছি। আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো ভালো মানের পণ্য ক্রেতাদের হাতে পৌঁছানো। তা ছাড়া নতুন কোম্পানির অনেক চ্যালেঞ্জ, তবে সেগুলো বড় কোনো বাধা নয়। সবাই মিলেই আমরা বাধাগুলো ওভারকাম করছি।’
সারা সহকারী ব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রিয়ম ইবনে আমিন। বর্তমান বাজার নিয়ে তার কাজ তরুণ এই কর্মকর্তার। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের যে অভিজ্ঞতা আছে সে অনুযায়ী টিম মেম্বারদের নিয়ে আমরা সারা ফ্যাশনকে এগিয়ে নিতে পারবো। এখন বাজারে সবকিছু উন্মুক্ত। কোনো কিছুই লুকিয়ে রাখা যায় না। আমরা কোথা থেকে ফেব্রিক্স কিনছি, কোন দেশ থেকে আনছি, সবাই জানে। আমরা সবসময় চাই বাজেটের মধ্যে ক্রেতারা যেন আমাদের পণ্য কিনতে পারেন। সারা ক্রেতাদের কাছ থেকে স্বল্প লাভ করতে চায়। অন্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় আমরা কম লাভে আমাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করছি।’
সারার প্রধান ফ্যাশন ডিজাইনার ও বিভাগীয় সহকারী ব্যবস্থাপক সিলভিয়া স্বর্ণার কাছে জানতে চাইলাম- ট্রেন্ড অনুযায়ী ক্রেতা সাধারণের জন্য তারা কী করছেন? উত্তরে স্বর্ণা বললেন, ‘ট্রেন্ডি পোশাকগুলো আমরা বাজারে ছাড়ার চেষ্টা করছি। আন্তর্জাতিক ফ্যাশন হাউজগুলো যে ধরনের পোশাকগুলো তৈরি করছে আমারও সেগুলোকেই প্রাধান্য দিচ্ছি। বিশ্বমানের ও দক্ষিণ এশিয়ার পোশাকের ডিজাইন অনুযায়ী আমাদের পোশাক তৈরি করা হয়। ক্রেতারা কোন ট্রেন্ডের পোশাক চাইছেন এগুলো মাথায় রেখে বিভিন্ন ডিজাইন, রং, প্যাটেন্ট অ্যানালাইজ করে কাজ করছি।’
স্বর্ণা আরও বলেন, ‘সিজন অ্যানালাইজ করে সামার, স্প্রিং, উইন্টারের ক্রেতারা কী চাচ্ছে তা ধারণা নিয়ে কাজ করছি। সিজনের পাশাপাশি অকেশন নিয়েও কাজ করছি। অকেশন অনুসারে ক্রেতাদের পোশাক দেওয়ার চেষ্টা করি। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোকে সামনে রেখেই ফিউশন করে পোশাকগুলো তৈরি করা হয়।’
প্রতিষ্ঠানটির ই-কমার্স প্রধান অসীম সাহা। রাজধানীসহ প্রায় সারা দেশের মানুষ ঝুঁকে পড়ছেন ই-কমার্স সাইটগুলোতে। চ্যালেঞ্জও অনেক বেশি। তারা কীভাবে সবার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করছেন, জানতে চাইলাম তার কাছে। অসীম জানালেন, তাদের চ্যালেঞ্জটা অনেক বড়। তারা কিছু ক্যাম্পেইন করেন। অনলাইনে পণ্য কিনতে ছাড় না দিলেও গ্রাহকের ঠিকানায় বিনামূল্যে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে সারা। বৈশ্বিক ই-কমার্স সাইট আমাজনের সঙ্গেও তারা কাজ করছেন।
সারার কার্যালয় থেকে বেরিয়ে ধামরাইয়ের লাকুরিয়াপাড়ার ধুলাভিটায় অবস্থিত স্নোটেক্স গ্রুপের ফ্যাক্টরিতে গেলাম। মূল সড়ক থেকে স্নোটেক্স ফ্যাক্টরিটি দেখা যায়। আমাকে অভ্যর্থনা জানালেন স্নোটেক্সের সহকারী ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মো. জয়দুল হোসেন। জানা গেল, কর্মীদের উন্নয়ন, কাজের উন্নয়ন নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন কর্মশালা করে থাকে। সারা ও স্নোটেক্সের কর্মীদের জন্য রয়েছে দুপুরে ফ্রি খাবার। মাসের শেষ কর্ম দিবসে বেতন ও ওভারটাইম ভাতা, সেরা লাইন পুরষ্কার, সাপ্তাহিক বোনাস, প্রভিডেন্ট ফান্ড, খেলাধুলার জন্য আলাদা সময়, হাজিরা বোনাস, লিফটসহ নানা সুবিধা। সবচেয়ে বড় কথা হলো প্রতিবন্ধীদের জন্য সবুজ কর্ম পরিবেশ তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ফ্যাক্টরির সাততলায় স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম খালেদের কার্যালয়। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে হাসিমুখে তিনি কুশল বিনিময় করলেন আমার সঙ্গে। জানালেন কীভাবে তিনি ব্যবসায় এলেন। কীভাবে স্নোটেক্স ও সারাকে তৈরি করলেন। জানালেন তার নানা অর্জনের কথা। তার পরিচালনায় স্নোটেক্স ২০১১-১২ সালে সারা বাংলাদেশে বেস্ট ফ্যাক্টরি অব দ্য ইয়ার অর্জন করে। এ ছাড়া অর্জনের তালিকায় রয়েছে বেস্ট গ্রিন ফ্যাক্টরি সার্টিফিকেট, গোল্ড সার্টিফিকেট ফর কমপ্লায়েন্স। সম্প্রতি কর্মীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে পেয়েছেন সেডেক্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯।
২০০৫ সালে এস এম খালেদ প্রথম প্রতিষ্ঠা করেন মিরপুরের ‘স্নোটেক্স অ্যাপিয়ারেলস’ লিমিটেড। এরপর মালিবাগে ২০১১ সালে ‘কাট অ্যান্ড সিউ’। সেখান থেকে ২০১৪ সালে চলে আসেন ধামরাইয়ের ধুলিভিটার লাকুরিয়া পাড়ায়। নিজ অর্থায়নে প্রতিষ্ঠা করেন ‘স্নোটেক্স আউটার অয়্যার’ লিমিটেড কোম্পানি। নির্মানাধীণ আছে ‘স্নোটেক্স স্পোর্টস অয়্যার’ লিমিডেট কোম্পানির ভবন।
তার সান্নিধ্যে এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ করছেন ১১ হাজার কর্মী। খালেদ জানালেন, স্পোর্টস অয়্যার নির্মাণ হয়ে গেলে কর্মী সংখ্যা ১৮ হাজারে উন্নীত হবে তাদের। স্নোটেক্স আউটার অয়্যারে তারা তৈরি করছেন ওয়ার্ক অয়্যার, সেফটি অয়্যার, ফ্যাশন অয়্যার, স্পোর্টস অয়্যার ও বটম অয়্যার।
একটা সময় সংগঠনমনা ছিলেন এস এম খালেদ। কিন্তু আজ তিনি ব্যবসায়ী। সততা, নিষ্ঠা ও পাকা কথার অধিকারী এই ব্যক্তি গত ১৯ বছরে নিজের জীবনের সবটুকু দিয়ে স্বপগুলোতে বাস্তবে রুপ দিয়েছেন। স্নোটেক্স গ্রুপের প্রথম তিনটি গার্মেন্টস মিলিয়ে ১০৬টি লাইন আছে। নতুন গার্মেন্টসটি তৈরি হলে সেটি গিয়ে দাঁড়াবে ১৮৫তে। ব্যবসায় হবে প্রায় ২৫০ মিলিয়নের।
তিনি বলেন, ‘এই সফর সফল হয়েছে আমার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যারা কাজ করেছেন। আমার কর্মীরাও এই সফলতার পেছনে কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করেছে। আমার দুটি প্রতিষ্ঠানই কর্মীবান্ধব। তাদের সুবিধা না দিলে তো প্রতিষ্ঠান চলবে না। এখানে যা কিছু দেখতে পাছেন সবকিছুই আমার কর্মীদের মেহনতের ফসল। স্নোটেক্স ও সারা দুটিই আমার দুই সন্তানের মতো। আমি চাই দেশ-বিদেশের মানুষ আমার এই সন্তান দুটিকে ভালোবাসুক।’
স্নোটেক্সের অপর পরিচালক (অপারেশন) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেইন সাহেব বলেন, ‘২০ বছর ধরে আমরা গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করছি, স্নোটেক্স আউটারঅয়্যারে আমাদের অনেক কিছুই ডেভেলপ করা আছে। সেখান থেকেই চিন্তা করলাম আমাদের সোর্সিং, ডিজাইন, ফ্রেব্রিকগুলো ব্যবহার করে নতুন কিছু করা যায় কি না। আমাদের যারা অভিজ্ঞ কর্মকর্তা-কর্মীরা আছেন তাদের সমন্বয়ে কিছু করা। সেখান থেকেই আসলে সারাকে প্রতিষ্ঠা করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দুই বছরের মধ্যে আমরা এই প্রতিষ্ঠানটিকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। এর পর অন্যান্য বড় প্রতিষ্ঠানের মতো বিশ্ব বাজারেও সারাকে ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড় করানোর পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে সারা বিশ্ব বাজারেও ভালো ব্যবসা করবে।’
ক্রেতা সাধারণের জন্য তার বার্তা- ‘যেহেতু সারা বাংলাদেশের ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করছে, আপনাদের কথা মাথায় রেখেই। দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা চিন্তা করেই সারা কাজ করবে। আমরা অর্থের চেয়ে আতিথেয়তায় বিশ্বাসী। এও বিশ্বাস করি ক্রেতা সাধারণ আমাদের পাশে থাকবেন।’
দুপুরের খাবারের সময় দেখা গেল কর্মীরা লাইন বেধে ডাইনিং রুমে যাচ্ছেন। ডাইনিংয়ে একই সময় প্রায় ১৫০০শ কর্মী এক সঙ্গে বসে খেতে পারেন। খাবারের সময় এখানে কর্মকর্তা-কর্মীতে নেই কোনো ভেদাভেদ। কর্মীরা যে খাবার খান, কর্মকর্তা-মালিকও সেই খাবার খাচ্ছেন।
খাবারের পর কর্মীদের রয়েছে ৪০ মিনিট ঘুমের সময়। এ সময় পুরো প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। বন্ধ হয়ে যায় লাইনগুলোও। ঠিক ৪০ মিনিট পর আবার কাজ শুরু হয়।
ফ্যাক্টরির ভেতর রয়েছে বিশাল বাগান। ৬০ বিঘা জমির অংশের দুই বিঘায় সবজির চাষ হয়। বাগানের মাঝে রয়েছে ছোট ফাঁকা মাঠ। ছোট প্রজাতির একটি গুল্ম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন প্রাণির অবয়ব। বাগানের মাঝে গড়া হয়েছে একটি ঘর যাকে বলা হয় ‘গ্রিন হাউস’। ঘরটি আদতে একটি ট্রেনিং সেন্টার। কর্মীদের বিভিন্নরকম ট্রেনিং দেওয়া হয় এখানে। ফায়ার ডিফেন্স, নিরাপত্তাজনিত বা চিকিৎসাজনিত ট্রেনিং দেওয়া হয় কর্মীদের। এ ঘরটিতে বিদেশি মেহমানদের সঙ্গেও বিভিন্নরকম মিটিং করা হয়ে থাকে।
এই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের খাবারের মেন্যুতে থাকে সবজি, মুরগি, ডিম, মসলা, দুধ, মাংস। এগুলো বিভিন্ন সার্টিফায়েড ফিড মিল থেকে সংগ্রহ করা হয়। রান্নার জন্য রয়েছে আলাদা বিল্ডিং। প্রায় ২০ টি বড় চুলায় রান্না হয়। তাদের নিজস্ব মাইক্রো বায়োলজিস্ট রাকিবুর রহমান প্রতিনিয়ত খাদ্যপণ্যগুলো পরীক্ষা নিরিক্ষা করেন। প্রতিটি খাবার লেভেলিং করা থাকে। লেভেল নম্বর অনুযায়ী পাত্র থেকে খাবার গুলো এখানে এনে পরীক্ষা করা হয়। সস-প্যানগুলোতে থাকে ট্র্যাকিং ডিভাইস।
একটি স্ট্রিপের মাধ্যমে পরীক্ষাটি করা হয়। যদি কোনো খাবারে কোনো কারণে বিক্রিয়া দেখায় দেয় সাদা স্ট্রিপটি নীল রঙ ধারণ করে ১৫ মিনিটের মধ্যে ফলাফল দিয়ে দিতে সক্ষম।
আগুন নির্বাপনেও সারা তথা স্নোটেক্সে রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। ফায়ার সেফটির জন্য তাদের রিজার্ভে দুটি প্যানেল মিলিয়ে ১১ লাখ টন পানির মজুদ রয়েছে। একটি পুকুর রয়েছে, প্রয়োজনে যাতে সেখান থেকে পানি ব্যবহার করা যায়। পুকুরে দেশিয় মাছও চাষ করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের রুল ও ফায়ার সার্ভিসের সেফটি কোড অনুযায়ী যা যা রাখা প্রয়োজন প্রতিষ্ঠানটিতে সবই আছে। সেফটি প্যানেল-ফায়ার ডিটেকটর আছে, অ্যালার্মিং ব্যবস্থা আছে।
৬০ বিঘা জমিতে সারা বা স্নোটেক্সের আউটার অয়্যার ভবন দাঁড়িয়ে আছে সাড়ে চার লাথ স্কয়ার ফিটের উপর। স্পোর্টস ওয়্যার নির্মাণ হচ্ছে ৬ লাখ স্কয়ার ফিটের উপর। এ ছাড়া আছে কর্মীদের জন্য নিজস্ব হাসপাতাল, মাতৃসেবাকেন্দ্র, ডে কেয়ার, নিরাপত্তা কর্মীদের থাকার ঘর ও বিশাল পার্কিং।