মুক্তিযোদ্ধার সনদ করে দেওয়ার কথা বলে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আকবর আলীর কাছ থেকে চার লাখ টাকা নেন মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সাইফুল ইসলাম। কিন্তু কথা না রাখায় গতকাল রবিবার তার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদ-উর রহমানের আদালতে প্রতারণার মামলা করেন ওই বৃদ্ধ। বাদীর জবানবন্দি নিয়ে শাহআলী থানার ওসিকে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে আদেশ দেন বিচারক। বাদীপক্ষের আইনজীবী এম কাওসার আহমেদ এ তথ্য জানান।
মামলায় বাদী আকবর আলী অভিযোগ করেন, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ হয়ে আপিল কমিটির কাছে আবেদন করেন তিনি। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মচারী সাইফুল ইসলামের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। আপিল পক্ষে যেতে বাদীর কাছে অফিস খরচ বাবদ চার লাখ টাকা চান আসামি। সরল বিশ্বাসে আকবর আলী ২০১৭ সালের ২ মে কয়েকজনের উপস্থিতিতে তাকে দুই লাখ টাকা দেন। পরে ৭ জুন আসামির ব্যাংক হিসাবে আরও দুই লাখ এক হাজার টাকা পাঠান। কিন্তু আপিল আবেদনে কোনো কাজ না হওয়ায় সাইফুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তখন বিভিন্ন আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন আসামি।
প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে গত ৭ আগস্ট সাইফুলের বাসায় যান আকবর আলী। তাকে না পেয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই দিন রাত ৯টার দিকে বিসিআইসি কলেজের গেটে বাদীর সঙ্গে দেখা করে সাইফুল বলেন, ‘আপনি আমার বাসায় গিয়ে মানসম্মান নষ্ট করেছেন।’
তখন টাকা ফেরত চাইলে উল্টো বলেন, ‘এক হাজার টাকাও ফেরত দেওয়া হবে না।’ সেই সঙ্গে বৃদ্ধ আকবরকে বিভিন্ন ধরনের কটূক্তি এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। আসামি সাইফুল ইসলাম গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার বন্ধ্যাবাড়ী গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে।