সমগ্র জাতির সাথে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীতে বীর সন্তানদের স্মরণ করেছে যাদের রক্তের বিনিময়ে দুই যুগের পাকিস্তানি শাসনের অবসান ঘটেছিল এবং বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের। ১৬ ডিসেম্বর বৃহষ্প্রতিবার সন্ধ্যায় ভার্জিনিয়ার আলির্ংটনস্থ আলাদীন রেষ্টুরেন্টে মেট্র ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি সাদেক এম খান এবং সভা পরিচালনা করেন সহ সভাপতি কৃষিবীদ ও ডাটা অ্যানালিষ্ট আনোয়ার হোসাইন।
নেতাকর্মীদের কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবশেনার মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়। জাতীয় সঙ্গীত পরিবশেনা শেষে সভায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ সভাপতি লেখক সাংবাদিক শিব্বীর আহমেদ, সহ সভাপতি জি আই রাসেল, সহ সভাপতি নাজমুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক নারায়ন দেবনাথ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ সিরাজ সহ আরো অনেকে। এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন জেবা বানু, শাকিলা লুলু, মিরাজ হক সহ আরো অনেকে।
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ নামে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে আস মেট্র ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অপশক্তিকে উৎখাত, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিসহ সকল ‘অন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র’ রুখে দেয়ার অঙ্গীকার করেন।
নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। সেই বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ বলেন, ভুলে গেলে চলবে না- আমরা একটা ফুলের জন্য যুদ্ধ করেছি, একটি মুখের হাসির জন্য যুদ্ধ করেছি। স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রীরা যাতে এই ফুলকে নষ্ট করতে না পারে, কারো মুখের হাসি কেড়ে নিতে না পারে, সেজন্য আমাদের সবাইকে একতাবদ্ধ থাকতে হবে। আলোচনা সভায় বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের রক্ত বৃথা না যাওয়ার শপথ নেয় নেতাকর্মীবৃন্দ। বাংলাদেশ সরকারের নেয়া ভিষন ২০৪১ কে সামনে রেখে জাতির পতিা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হবার দীপ্ত আহবান জানানো হয় আলোচনা সভায়।