গত ১৯শে ডিসেম্বর রবিবার, কুইন্সের গুলশান প্যালেস পার্টি হলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের স্কুল সেফটি বিভাগে কর্মরত বাংলাদেশী আমেরিকান স্কুল সেফটি অফিসারদের সংগঠন বাসসা এর দ্বিতীয় বার্ষিক ডিনার পার্টি। করোনা পেন্ডামিকের সতর্কতার মাঝেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত স্কুল সেফটি অফিসার ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সহ প্রায় ১৫০ জন অতিথির সমাগম হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এন ওয়াই পিডি স্কুল সেফটি ডিভিশনের কমান্ডিং অফিসার ও এসিস্ট্যান্ট চিফ ওলুমফানমিলোলা ওবি, ডাইরেক্টর কেলী জনসন, এ্যাডমিনিস্ট্রেটর লেফটেন্যান্ট ক্যারি রোজ,ডেপুডটি ডাইরেক্টর তারভাসা হাগিন্স, ডেপুটি ডাইরেক্টর রিচার্ড কোভিজ, বরো কমান্ডিং অফিসার সিনডি ম্যাকনেইল, ক্রিস্টিয়ান রাঙ্গেল, ইয়ামিজি উইলিয়ামস ল্যাভিংটন এবং ব্রংঙ্কস পশ্চিমের একমাত্র বাঙ্গালী এক্সিকিউটিভ অফিসার দিপা জোয়ারদার। দুই দেশের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং বড় পর্দায় বাসসা’র কর্মকান্ডের উপর ভিডিও প্রতিবেদন এবং অংশগ্রহনকারী সদস্যদের পরিচিতিমূলক ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।এরপর আমন্ত্রিত অতিথীবৃন্দকে বাসসার পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।সংগঠনের পক্ষ থেকে অতিথীবৃন্দের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন দিপা তিন্নী, রিপা ইসলাম, নাহার, মহিতুর রহমান, ওয়াহিদা পারভীন, সেলিম চৌধুরী, শরীফ খান, লোকমান হোসেন, সারওয়ার চৌধুরী, শফিক ইসলাম, তরিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মিয়া। ক্রেস্ট গ্রহণকালে অতিথীবৃন্দ তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে বাসসার কর্মকান্ড সম্পর্কে ভূয়সী প্রসংশা করেন। এরপর বক্তব্য রাখেন বাসসা প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মিয়া এবং সেক্রেটারী তরিকুল ইসলাম। রাকিব হাসান ও ওয়াহিদা পারভীনের প্রানবন্ত উপস্থাপনায় উপস্তিত সকলে মুগ্ধ হয়ে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশের স্কুল সেফটি বিভাগে কর্মরত বাঙালী অফিসারদের বিশাল এই মিলন মেলায় বিভিন্ন রকম বিদেশী খাবারের পাশাপাশি বাংলাদেশী ঐত্যবাহী ঝালযুক্ত সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয়। উপস্থিত অতিথিরা একে অন্যের সাথে পরিচিত হন এবং আনন্দ আড্ডায় মেতে উঠেন। দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে উপস্থিত বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত স্কুল সেফটি অফিসারেরা সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন। নিউইয়র্কের বাঙালী কমিউনিটির জনপ্রিয় শিল্পী রোকসানা মির্জা তার গান ও নাচ দিয়ে পুরো অনুষ্ঠান মাতিয়ে তোলেন। শিল্পীর সাথে উপস্থিত অতিথীরাও মেতে ওঠেন সঙ্গীতের মূর্ছনায়। বাসসা আয়োজক কমিটি সন্তোষ প্রকাশ করে জানান যে, ভবিষ্যতে এধরনের মিলনমেলার আয়োজন অব্যাহত থাকবে। তারা আরো জানান যে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত অফিসারদের কল্যানে বাসসা ইতিমধ্যেই বেশকিছু প্রসংশনীয় কাজ সম্পাদন করেছে এবং কিছু উল্লেখযোগ্য কর্মসূচী চলমান আছে। তারা ভবিষ্যতে স্কুল সেফটি অফিসারদের কল্যাণে নিরলস ভাবে কাজ করে যাবার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।