ভারতে সরকারি তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৪৬৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। তবে আসলে করোনা আক্রান্ত হয়ে ভারতে প্রাণ হারিয়ে থাকতে পারে ৩৪ লাখ পর্যন্ত মানুষ। এমনই দাবি করা হলো এক গবেষণা পত্রে। কানাডার টরোন্টোর সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চের বিজ্ঞানীরা এই গবেষণা চালিয়েছেন। একটি জাতীয় সমীক্ষা ও সরকারি দু’টি তথ্য ভাণ্ডারের সাহায্যে এই গবেষণা চালানো হয়েছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ভারত সরকারের ‘হেলথ ম্যানেজমেন্ট ইনফর্মেশন সিস্টেমে’র থেকে সরকারি করোনা মৃত্যুর হিসেব সংক্রান্ত তথ্য পেয়েছে তারা। পাশাপাশি ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমে’র থেকে ভারতে মোট মৃত্যুর পরিসংখ্যান পেয়েছে তারা। এই দুই তথ্য খতিয়ে দেখেই গবেষণা সম্পন্ন করা হয়েছে। একইসাথে জাতীয় স্তরে একটি সমীক্ষাও চালানো হয়েছিল। গবেষণকেদর দাবি, ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট ৩১ লাখ থেকে ৩৪ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। এর মধ্যে থেকে এপ্রিল-জুলাই মাসে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ই প্রাণ হারিয়ে থাকতে পারেন ২৭ লক্ষ মানুষ।
জানা গেছে, গবেষকদের হয়ে জাতীয় স্তরে সমীক্ষাটি করেছে সিভোটার। মোট ১ লাখ ৪০ হাজার ব্যক্তির ওপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। প্রাক-মহামারী সময়ের সাথে তুলনা করে তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে ভারতের ২ লাখ হাসপাতালে সর্বজনীন মৃত্যুর হার ২৭ শতাংশ বেশি এবং সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের তথ্যে দেখা গিয়েছে ১০টি রাজ্যে মৃতদের নাগরিক নিবন্ধনের হার ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারতের কোভিড মৃত্যু সরকারি রিপোর্টের থেকে ৬ থেকে ৭ গুণ বেশি ছিল।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস