যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক নিয়ন্ত্রকরা ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের (এনবিপি) নিউইয়র্ক শাখাকে অর্থ পাচারবিরোধী আইন লঙ্ঘন এবং এ বিষয়টির প্রতি সম্মতির ঘাটতির জন্য ৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারেরও বেশি জরিমানা করেছে।
ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ড এবং নিউইয়র্কের ডিপার্টমেন্ট অফ ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (এনওয়াইডিএফএস) জরিমানার কারণে শুক্রবার এনবিপির শেয়ার শতকরা ৭ ভাগ হ্রাস পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ড বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, এনবিপির ব্যাঙ্কিং অপারেশনগুলো একটি কার্যকর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা প্রোগ্রাম বা নিয়ন্ত্রণ বিরোধী মানি লন্ডারিং আইন মেনে চলার জন্য পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পারেনি।
পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ বলেছে যে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রকদের সাথে একটি সমঝোতার মাধ্যমে জরিমানা সম্মত হয়েছে এবং এনবিপির নিউইয়র্ক শাখায় কোনো ‘ইচ্ছাকৃত অসদাচরণ’ হয়নি।
এনওয়াইডিএফএসের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিষ্পত্তির অনুযায়ী এনবিপিকে একটি পরিকল্পনার প্রস্তাব দিতে হবে। ব্যাঙ্কের বিএসএ/এএমএল কমপ্লায়েন্স প্রোগ্রামের নীতি ও পদ্ধতির বর্ধিতকরণ, এর সন্দেহজনক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ এবং রিপোর্টিং প্রোগ্রাম, এবং এর গ্রাহকদের যথাযথ অধ্যাবসায়ের প্রয়োজনীয়তাগুলির বিশদ বিবরণ দিতে হবে।
এনবিপির শতকরা ৭৫ ভাগেরও বেশি পাকিস্তান সরকারের মালিকানাধীন।
প্রতিবেশী ভারত ও আফগানিস্তানে কৌশলগত লক্ষ্যেগুলো এগিয়ে নিতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার এবং ব্যবহার করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরে অভিযোগ রয়েছে।
আটলান্টিক কাউন্সিলের একজন সিনিয়র ফেলো জাভিদ আহমেদ বলেছেন, এই ধরনের অর্থ-পাচারের শাস্তি প্রদানের পেছনে রয়েছে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাগুলোর দ্বারা সক্রিয় সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বিরোধী নিয়ম মান্য না করার বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ।
পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসবাদের সাথে কোনো সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে এবং দাবি করে যে দেশটি গত দুই দশক ধরে সন্ত্রাসী হামলার কারণে অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।