ইভিএম নিঃশব্দে চুরির একটি প্রক্রিয়া বিএনপির এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, আসন্ন দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নীরবেও কারচুপি হওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ইভিএমে ভোটের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সুতরাং ইভিএম থেকে সরে আসার সুযোগ নেই। ইভিএমে আগে প্রোগ্রামিং করার সুযোগ নেই। ভোটের আগে ভোটের টাইম মেশিনে সেট করে দেয়া হয়। সকাল ৮টার আগে কেউ মেশিন খুলতে পারবে না। আবার ৫টার পরে ভোট দেয়া যাবে না। ইভিএম অনলাইন সিস্টেম না, অফলাইন সিস্টেম। ফলে কোনো সমস্যা হবে না।
আসন্ন ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন নিয়ে সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে কমিশনের সাথে বিএনপি প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
বিএনপির সাথে বৈঠক প্রসঙ্গে সিইসি নুরুল হুদা বলেন, আমরা তাদের বুঝিয়ে বলেছি, যার ভোট সে দিতে পারবে। ভোটে কোনো অনিয়ম হওয়ার সুযোগ নেই। ব্যালট বাক্স নিয়ে যাওয়া, পুড়িয়ে দেয়াসহ নানা কারণে নির্বাচনে অনিয়মের যে অভিযোগ ছিল সেজন্য আমরা ইভিএম ব্যবহার করতে পারি। ইভিএমে ভোটার ডাটাবেজ, বায়োমেট্রিক সম্পন্ন হয়েছে। ফলে আমরা ভোটে অনেক প্রটেকশন নিশ্চিত করতে পারি।
বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইভিএমে নীরবে কারচুপি হওয়ার সুযোগ নেই। সংসদ নির্বাচন, সিটি নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচন করেছি। সেখানে ভোটারদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ ছিল না, প্রার্থীদেরও তেমন অভিযোগ ছিল না। তিনি বলেন, প্রার্থীদের পুলিশি হয়রানি করা, প্রার্থীদের বাসায় হানা দেয়ার যে অভিযোগ পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করে কঠোরভাবে বলে দেবো যাতে প্রার্থীদের হয়রানি না করে। গ্রেফতারি পরোয়ানা বিষয়ে বলেছি, নিষ্প্রয়োজনীয় কোনো গ্রেফতার করা যাবে না। কিন্তু ক্রিমিনাল অফেন্স করলে গ্রেফতার করা যাবে না, তা হবে না। কোর্ট থেকে অর্ডার আসলে গ্রেফতার হবে। প্রয়োজনীয় ও নিষ্প্রয়োজনীয় নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করব। পুলিশের সঙ্গে আনঅফিসিয়ালি কথা বলেছি তারা অপ্রয়োজনীয় গ্রেফতার করবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের বিধি মেনেই নির্বাচন পরিচালনা করা হবে।
বিভিন্নস্থানে বিধি ভেঙে প্রচারণার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রচারণার বিষয়ে শুনেছি, তবে কেউ অভিযোগ করেনি। পত্রিকায় যেসব অভিযোগ আসছে, রিটার্নিং কর্মকর্তারা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে।