ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তার নাম মজনু। বুধবার রাতে তাকে গাজীপুর থেকে আটকের পর গ্রেফতার দেখিয়েছে র্যাব। তাকে এখন রাজধানীর কাওরান বাজারের র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আনা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতের কাছ থেকে ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোন, ব্যাগ ও পোর্টেবল চার্জার উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। এ ব্যাপারে কিছুক্ষণের মধ্যে বিফ্রিং করা হবে।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন-কাশেম বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তির ছবি ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে দেখানো হয়েছে। তিনি তাকে ধর্ষক বলে শনাক্ত করেছেন।
ক্যান্টনমেন্ট থানায় করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষকের উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চির মতো। গায়ের রঙ শ্যামলা, গড়ন মাঝারি। পরনে জিনসের পুরোনো ফুলপ্যান্ট ও ময়লা কালচে ফুলহাতা জ্যাকেট, পায়ে স্যান্ডেল এবং মাথার চুল ছোট করে ছাঁটা।
ইতোমধ্যে সিআইডির ক্রাইম সিন বিভাগ ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে। ওই ছাত্রীর চিকিৎসায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ।
গত রোববার রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে অজ্ঞাত এক যুবক। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ৩০-৩৫ বছরের এক যুবককে আসামি করা হয়।