কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতারকৃতের নাম মজনু মিয়া (৩০)। আজ সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম জানিয়েছেন, সে একজন সিরিয়াল রেপিস্ট। তার টার্গেট ছিল প্রতিবন্ধী নারীরা। এই প্রথম প্রতিবন্ধী নয়, এমন কাউকে সে তার শিকার বানিয়েছে।
র্যাব আরো জানায়, মজনু মিয়া মাদকাসক্ত। তার বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়ায়। সে ছিনতাই করতো। ঢাকায় আসার পর বিভিন্ন রেল স্টেশনে কিংবা এর আশপাশে থাকতো। ১২ বছর আগে ট্রেন থেকে পড়ে তার দুটি দাঁত ভেঙে যায়।
কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে মজনুকে র্যাব গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছে, মজনু নোয়াখালীর স্থানীয় ভাষায় কথা বলেন। তার কয়েকটি দাঁত নেই। ধর্ষকের উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চির মতো। গায়ের রঙ শ্যামলা, গড়ন মাঝারি- এসব বর্ণনার ওপর নির্ভর করে তদন্ত শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পরে বুধবার রাতে গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে তাকে আটকের পর গ্রেফতার দেখায় র্যাব।
এর আগে গত রোববার রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর এক ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে অজ্ঞাত এক যুবক। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ৩০-৩৫ বছরের এক যুবককে আসামি করা হয়।