ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে সরকারি অনুদানের নির্মিত সিনেমা ‘গলুই’। এসএ হক অলিক পরিচালিত ‘গলুই’র সহ-প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান ও চিত্রনায়িকা পূজা চেরি অভিনীত এটি দেশের প্রায় ৩০টি সিনেমা হলে প্রদর্শিত হচ্ছে।
তবে জামালপুরে সিনেমা হল না থাকায় এটি প্রদর্শিত হয় স্থানীয় শিল্পকলার একাডেমিতে। সেখানে কোনো ‘বানিজ্যিক সিনেমা প্রদর্শিত হবে না’-এই মর্মে ‘গলুই’ প্রদর্শনীতে বাধা দেয় জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুর্শেদা জামান। আর এ কারণে জামালপুরের দর্শক ঈদের সিনেমা দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
নির্মাতা এসএ হক অলিক বলেন, ‘যেহেতু জামালপুরে কোনো সিনেমা হল নেই, তাই আমরা সিনেমাটি মুক্তির জন্য প্রথমে শিল্পকলা একাডেমিকে বেছে নিয়েছিলাম। একাডেমির দায়িত্বে থাকা ও সেখানকার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে ছবিটি চালানোর ব্যবস্থা করি। এরপর চাঁদ রাতে সেখানকার ডিসি এটি প্রদর্শনীতে বাঁধা দেয়। আমরা শহরের মির্জা আজম অডিটোরিয়ামে ছবিটি চালানোর ব্যবস্থা করি। আর বিষয়টি নিয়ে ডিসির সঙ্গেও কথা বলি এবং ছবিটি চালানোর ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু গত ৫ তারিখে এসে তিনি আবার ছবিটি বন্ধ করে দেন। তখন ১৯৫৮ সালের একটি আইন আমাদের সামনে তুলে ধরেন এবং শো বন্ধ করে দেওয়ার হুকুমও দেন। কোনো উপায় না দেখে গত দুদিনের শো’র বিক্রির টিকিট দর্শকদের ফিরিয়ে দিয়েছি।’
অলিক আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ‘এটি সরকারি অনুদানের একটি ছবি। প্রধানমন্ত্রী চলচ্চিত্রের উন্নয়ন ও সুস্থ ধারার বিনোদন দেওয়ার জন্যই তিনি এই অনুদান দিয়ে থাকেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ও এই বিষয়ে তদারকি করে থাকেন। সরকারি অনুদানের ছবি যদি বন্ধ করে দেওয়া হয়- তাহলে এর চেয়ে দুঃখের বিষয় আর কি হতে পারে।’
বিষয়টি নিয়ে জামালপুরের জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
উল্লেখ্য, রোমান্টিক গল্পের সিনেমা ‘গলুই’ ২০২০-২১ অর্থ বছরে সরকারি অনুদান পায়। সিনেমায় শাকিব-পূজার পাশাপাশি আরও অভিনয় করছেন আজিজুল হাকিম, সমু চৌধুরী, ঝুনা চৌধুরী প্রমুখ।
নৌকার গলুই থেকেই সিনেমার নামকরণ করা হয়েছে ‘গলুই’। এটি যেহেতু নৌকার গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তাই এ গলুইয়ের সঙ্গে মানুষের জীবন, সম্পর্ক, পরিবার, রাষ্ট্রকে মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছে চিত্রনাট্য। সিনেমায় শাকিবের চরিত্রের নাম লালু আর পূজার চরিত্রের নাম মালা। দুজনেই বেড়ে উঠেছেন একই এলাকায়।