রূপালি পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। সিনেমা, বিজ্ঞাপন ও সামাজিক নানা কার্যক্রম নিয়ে দারুণ ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। এর মাঝেই এই চিত্রনায়িকা সময় দিয়েছেন দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে। বলেছেন কাজ ও ব্যক্তিজীবনের নানা কথা।
শুরুতেই জানতে চাই, এখন কী নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন?
বেশ কিছু কাজ নিয়েই এখন ব্যস্ত। এর মধ্যে গত দুদিন ধরে ইন্ডিয়ার একটি আয়োজন যার নাম ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন প্রোগ্রাম-২০২২’র কাজ করলাম। এই আয়োজনটি দেশে চালু হয়েছে ২০১২ সালে। এটার কাজ হচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঙ্গনের ১শ’ জন অনন্য প্রতিভাবানকে নিয়ে। যারা কিনা রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় ভারত ভ্রমণ ও দেশটির নেতৃত্ব দেওয়া গুণী মানুষদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন।
সিনেমার ব্যস্ততা এখন কেমন?
আপাতত সিনেমার ব্যস্ততা একটু কম। এর মধ্যে তিন-চারটি কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত হয়েছি। তাদের কাজই এখন করছি। আর নতুন সিনেমার কাজ নিয়েও কথা চলছে। ব্যাটে বলে মিললে করা হবে।
মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমাগুলোর খবর কী?
আগামী ঈদে হয়তো সোলায়মান হোসেন লেবু ভাইয়ের ‘প্রেম প্রীতির বন্ধন’ ছবিটি মুক্তি পাবে। আর সরকারি অনুদানে বন্ধন বিশ্বাসের ছবি ‘ছায়াবৃক্ষ’ মুক্তি পাবে ঈদের পর।
এত ব্যস্ততার মাঝে জয়কে সময় দেওয়া কী কঠিন হয়ে যায়?
না, না আমার জয় (ছেলে আব্রাহাম খান জয়) অনেক স্মার্ট। কারণ সে ছোটবেলা থেকেই জানে তার মা একজন কর্মজীবী মা। আর আমার কাজিন আছে সেও জয়কে অনেক টেক কেয়ার করে। একটা জায়গায় অনেক বেশি গ্যাপ, আমার মা (অপু বিশ্বাসের মা শেফালি বিশ্বাস) নেই। যেটা জয় অনেক বেশি মিস করে। তা ছাড়া সবকিছু ঠিক আছে।
নিজেকে নিয়ে নতুন করে কিছু ভাবছেন?
মানে, বিয়েশাদি! না, না। এখন আমার সুন্দর একটা ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে। আমার পরিবার বলতে আমার দর্শক, আমার পরিবার বলতে আমার বন্ধু ও জীবন এই মুহূর্তে জয়। আর আমি আমার ক্যারিয়ারের জন্য অনেক বেশি পরিশ্রমী হয়েছি। যার প্রমাণ আপনার ইতিমধ্যেই পেয়েছেন। বিয়েশাদি, প্রেম এগুলো আমার পছন্দ না।
সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘ দিন ধরেই কাজ করছেন। এই ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আপনার মন্তব্য…
এ নিয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তারপরও বলি, এখন অনেক ভালো গল্প ও উন্নতমানের ছবি নির্মাণ হচ্ছে। আমাদের দেশের দর্শক যদি হলে গিয়ে ছবি দেখে তাহলে এর প্রমাণ পাবে। তারা ছবি দেখে মন্তব্য করুক। কেমন হয়েছে, ছবির কোন অংশগুলো ভালো লাগেনি ইত্যাদি। তাহলে নির্মাতারাও দর্শকদের মন্তব্য গুরুত্ব দিয়েই পরবর্তীতে কাজ করবে। নিজের দায়িত্ববোধ থেকে একটা কথা বলতে চাই, আমাদের ইন্ডাস্ট্রি আরও এগিয়ে যাক। আর কথায় বড় না হয়ে, আমরা কাজে বড় হতে চাই।