যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের একটি সুপারমার্কেটে গুলি চালিয়ে ১০ জনকে হত্যা করেছে এক যুবক। পুলিশ এখন বলছে, এটি একটি বর্ণবাদী হামলা ছিল। হামলাকারী একজন ১৮ বছর বয়স্ক শেতাঙ্গ। তিনি যত বেশি সম্ভব কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের হত্যার চেষ্টা করেছিল। এ খবর দিয়েছে ডয়চে ভেলে।
খবরে জানানো হয়, শনিবার নিউ ইয়র্কের বাফালোতে এই নৃসংশ হামলার ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত যুবক হামলার কাছে ওই জায়গাটি ঘুরে পরিকল্পনার ছক আঁকে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই যুবক নিউ ইয়র্কের বেশ কয়েকটি কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত এলাকা ঘুরে দেখেছিল। এরপরই তিনি বাফালোকে বেছে নেন তার হামলার জন্য। বাফালোর মেয়র জানিয়েছেন, ওই যুবকের উদ্দেশ্য ছিল, যত বেশি সম্ভব কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা করা। সে কনকলিন থেকে বাফালো যায়, তারপর টপস ফ্রেন্ডলি মার্কেটে গিয়ে গুলি চালাতে থাকে
বাফালোর পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রামালিগা জানিয়েছেন, আমরা যে তথ্যপ্রমাণ পেয়েছি, তার ভিত্তিতে বলা যায়, এটা পুরোপুরি হেট ক্রাইম এবং সেভাবেই তার বিচার হবে। একদিন আগে ওই যুবক শহরে এসেছিল। সে সবকিছু ঘুরে দেখে আক্রমণের জায়গা বেছে নেয়। এই হামলা চালাবার আগে সে সামাজিক মাধ্যমে ১৮০ পাতার বর্ণবাদী ইস্তাহার প্রকাশ করে। পুলিশ এখন ওই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে। নিউ ইয়র্ক স্টেট পুলিশ জানিয়েছে, গত বছর তারা কনকলিন স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অভিযোগ পান। সেখানকার একটি ছাত্র গুলি করে অন্যদের মারার হুমকি দিচ্ছে। তারা সেই ছাত্রটিকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করান। সংবাদসংস্থা এপি-কে পুলিশের একজন অফিসার বলেছেন, ওই ছাত্রটিই বাফালোতে আক্রমণ চালায়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অপরপ্রান্তে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি চার্চেও হামলা হয়েছে। এতে কমপক্ষে একজন নিহত হয়েছেন। জানা গেছে, হামলাকারী চার্চে প্রবেশ করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। তবে চার্চের মধ্যেকার মানুষেরা হামলাকারীকে ধরে নিরস্ত করেন। পুলিশ জানিয়েছে, তার কাছ থেকে দুইটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত একজন এশীয় এবং তার বয়স ষাট বছরের মতো। কেন এই হামলা করেছে, তা এখনো জানা যায়নি। এ নিয়ে তদন্ত চালু করেছে পুলিশ। স্থানীয় শেরিফের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সেসময় যারা চার্চে ছিলেন, তারা মূলত তাইওয়ান থেকে আসা মানুষ।