বাংলাদেশের দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৫ হাজার রানের মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। ৫ হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশ করতে আর মাত্র ১৯ রান দরকার তামিমের।
আগামীকাল থেকে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষটি। এ ম্যাচেই তামিম ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করবেন বলে বলে আশা করা যাচ্ছে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট খেলতে নামার আগে ৫ হাজার রান করতে তামিমের দরকার ছিল ১৫২ রান। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৩৩ রান করেন তামিম। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ।
২০০৮ সালে ডানেডিনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তামিমের। ৬৬ ম্যাচের ১২৬ ইনিংসে ১০টি সেঞ্চুরি ও ৩১টি হাফ-সেঞ্চুরিতে এখন ৪ হাজার ৯৮১ রান এই বাঁ-হাতি ব্যাটারের। ব্যাটিং গড়- ৪০ দশমিক ১৬। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান ২০৬। ২০১৫ সালে খুলনার আবু নাসের স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে ডাবল-সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৫ হাজার রান স্পর্শ করেন মুশফিকুর রহিম। ১০৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। মাইলফলক স্পর্শ করতে মুশির দরকার ছিল ৬৮ রান। বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে সর্বোচ্চ রান এখন মুশফিকের। ৮১ ম্যাচের ১৪৯ ইনিংসে ৮টি সেঞ্চুরি ও ২৫টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৫ হাজার ৩৭ রান তার। ব্যাটিং গড়- ৩৬ দশমিক ৭৬।
মুশফিক-তামিমের পর বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সাকিব আল হাসানের। ৬০ টেস্টের ১১০ ইনিংসে ৪ হাজার ৫৫ রান করেছেন এই অলরাউন্ডার।