টেক্সাস ও ওকলাহোমার পর বন্দুকবাজের জোড়া হামলায় কাঁপল আমেরিকা। আইওয়া ও উইসকনসিনে বন্দুকবাজের হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। একের পর এক হামলার ঘটনায় এবার রীতিমতো চাপ বাড়ছে বাইডেন প্রশাসনের ওপর। দেশজুড়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কড়া আইন আনার জোরাল দাবি ওঠেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে আইওয়ার আমেসে একটি গির্জার সামনে বন্দুকবাজের গুলিতে দু’ব্যক্তির মৃত্যু হয়। কর্নারস্টোন চার্চের বাইরে ওই হামলার ঘটনায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে হামলাকারী।
অন্যদিকে, উইসকনসিনের মিলওয়াকির একটি কবরখানায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া চলাকালীন এক বন্দুকবাজের এলোপাথাড়ি গুলিতে অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছে। তারমধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, আমেরিকায় কিছুতেই থামছে না বন্দুকবাজের হামলা। গত বুধবার ওকলাহোমার টুলসায় একটি হাসপাতালে হানা দেয় এক বন্দুকবাজ। হামলাকারীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে চারজনের মৃত্যু হয়। নিহত হয় ওই বন্দুকবাজও।
স্থানীয় পুলিশ জানায়, আচমকাই টুলসা শহরের সেন্ট ফ্রান্সিস হাসপাতাল এক ব্যক্তি হামলা চালায়। ওই হামলার কারণ কী ছিল তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ৮ দিন আগে আমেরিকার টেক্সাসে একটি স্কুলে হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ১৯ জন শিক্ষার্থীর। প্রায় ৬০০ জন শিক্ষার্থীর রব এলিমেন্টারি স্কুলের ওই ঘটনায় কেঁপে ওঠে গোটা দেশ। তারপরই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জোট চর্চা শুরু হয় দেশজুড়ে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও তার সমর্থনে ওয়াল করেন। ফলে আরো জোরাল হয়ে ওঠে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইনের দাবি।
বিশ্লেষকদের মতে, আমেরিকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি এত সহজ নয়।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন