মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘আমি যা চেয়েছিলাম তার সবটা হয়তো করতে পারবে না এই বিলটি। কিন্তু এতে সেই পদক্ষেপগুলো রয়েছে, যে কথা দীর্ঘ সময় ধরে বলে আসছি আমি। এতে জীবন বাঁচাবে।’ গত তিন দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক নিয়ন্ত্রণে একটি বিলে স্বাক্ষরের পর গতকাল শনিবার তিনি একথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বন্দুক হামলা বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি মার্কিন সিনেটে বিলটি পাস হয়। এটিকে প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কংগ্রেসের উচ্চকক্ষে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে ১৫ রিপাবলিকান সদস্য যোগ দিলে বিলটি ৬৫-৩৩ ভোটে পাস হয়। এতদিন প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের অপেক্ষায় ছিল।
জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে ইউরোপের যাওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বহুল আলোচিত বিলে স্বাক্ষর করেন। ফলে আইনে পরিণত হলো। গুলিবিদ্ধদের পরিবারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে তাদের বার্তা ছিল কিছু করার। আজ আমরা করেছি। আমি জানি, আরও অনেক কাজ বাকি। তবে আশা ছাড়ছি না।’
বিলে হুমকি হিসেবে বিবেচিত মানুষের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র অপসারণের জন্য ‘রেড ফ্ল্যাগ’ আইন বাস্তবায়নে অঙ্গরাজ্যগুলোকে উৎসাহিত করার জন্য অর্থায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে। এই আইনে মানসিক স্বাস্থ্য কর্মসূচি এবং স্কুল নিরাপত্তা উন্নয়নের জন্য ১৫ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল তহবিল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এ ছাড়া আইনটিতে অবিবাহিত ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের অপব্যবহারের জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের কাছে বন্দুক বিক্রি আটকাতে কথিত ‘বয়ফ্রেন্ড লুপহোল’ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন আইনে ২১ বছরের কম বয়সের বন্দুক ক্রেতাদের অতীত ইতিহাস কঠোরভাবে খতিয়ে দেখা হবে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বন্দুক হামলায় ১০ জন এবং টেক্সাসের এক প্রাইমারি স্কুলে ১৯ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বন্দুক আইন কঠোর করার দাবি ওঠে দেশজুড়ে। এরপরই এই অস্ত্র আইন সংস্কারের বিষয়টি সামনে আসে। খবর: আল জাজিরা