দিল্লির জওহেরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) পর এবার পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী। রাতের অন্ধকারে ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রদের মারধর করার অভিযোগ উঠল ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, বুধবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ বিদ্যাভবনের সিনিয়ার বয়েজ হস্টেলে ঢুকে তাণ্ডব চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী। তারা এবিভিপি-র সমর্থক বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই ঘটনায় জখম হয়েছেন স্বপ্ননীল মুখোপাধ্যায় ও শুভ নাথ নামক বাম ছাত্র সংগঠনের দুই সমর্থক। তবে এই ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবিভিপি। আহত ছাত্রদের বিশ্বভারতী পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছাত্রনেতা অচিন্ত্য বাগদি, সাবির আলির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ছাত্ররারা।
ছাত্রদের অভিযোগ, হাসপাতালেও চড়াও হয় হামলাকারীরা। স্যোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে এক ছাত্র দাবি করেন, রড-উইকেট-কাঠের তক্তা দিয়ে প্রথমে পূর্বপল্লির রাস্তায় এবং পরে হস্টেলে ঢুকে তাদের মারা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে মারমুখী বেশ কয়েক জনকে ভাঙা উইকেট হাতে দেখাও গেছে । হাসপাতাল চত্বরে বৃহস্পতিবার সকালেও আটোসাঁটো নিরাপত্তা।
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরেই এনআরসি ও সিএএ-র প্রতিবাদে দফায় দফায় বিক্ষোভ, মিছিল করছিলেন বিশ্বভারতীর ছাত্ররা। ঘটনার পর বুধবার সকালে অভিযুক্ত অচিন্ত্য বাগদির দাবি প্রথমে বাম সমর্থক পড়ুয়ারাই গোলমাল শুরু করে। এমনকি তাকে মারধর করা হয়েছে বলেও দাবি করেন। অন্যদিকে, সকাল থেকেই বিশ্বভারতীর সামনে গতকালের ঘটনার নিন্দা ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন ছাত্ররা।
গতকাল রাতে বিশ্বভারতীতে দুক্কৃতী হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ট্যুইট করে তিনি জানান, এই ঘটনায় পুলিশকে দ্রুত এর অ্যাকশন নেয়ার জন্য অনুরোধ করছি এবং কর্তৃপক্ষকেও অনুরোধ করা হচ্ছে ‘কালপিট-দের দ্রুত সনাক্ত করে শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা নিক।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, দুষ্কৃতীরা তাদের দলের কেউ নয়। পাশাপাশি এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল বলেই দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।