শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন

মহাকাশের আরও চমকপ্রদ ছবি প্রকাশ করল নাসা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৩ জুলাই, ২০২২
  • ১৪১ বার

হঠাৎ দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যেতে পারে। তবে একটু আত্মস্থ হলেই দেখা যাবে গোল, চ্যাপ্টা, লম্বাটে নানা আকারের নক্ষত্রপুঞ্জ। তার প্রতিটা বিন্দু স্পষ্ট ধরা পড়েছে ছবিতে। দূরবর্তী মহাকাশের এমন চমকপ্রদ আরও কিছু ছবি প্রকাশ করেছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। মঙ্গলবার নতুন এসব ছবি প্রকাশ শুরু হয়েছে। নাসা জানিয়েছে, এসব ছবিতে মহাবিশ্ব সম্পর্কে নতুন যেসব ধারণা পাওয়া যাবে তা আগে কখনোই পাওয়া সম্ভব হয়নি। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং বৃহত্তম দূরবীক্ষণ যন্ত্র ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে এসব ছবি তুলেছে নাসা। নতুন প্রকাশ করা ছবি সম্পর্কে নাসার প্রশাসক বিল নেলসন বলেন, ‘আজ সকালে, এই গ্রহের মানুষেরা এই টেলিস্কোপে ধারণ করা ছবিগুলো দেখতে যাচ্ছে, আর প্রতিটি ছবিই এক একটি নতুন আবিষ্কার। প্রতিটি (ছবি) মানবজাতিকে মহাবিশ্ব সম্পর্কে এমন ধারণা দেবে যা আগে কখনোই পাওয়া যায়নি।’

সোমবার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া প্রথম পূর্ণাঙ্গ রঙিন ছবি প্রকাশ করে নাসা। ছবিটি প্রকাশ করে নাসা জানিয়েছে, বহির্বিশ্বের অদ্যাবধি যত ছবি তোলা হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে সুস্পষ্ট এবং গভীরতম ইনফ্রারেড ছবি এটি। মহাকাশের নিখুঁত বিশদের শেষ কথা বলে এই ছবি।

সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৭ হাজার ৬০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ক্যারিনা নেবুলা হলো একটি স্টেলার নার্সারি; যেখানে তারার জন্ম হয়। এটি আকাশের বৃহত্তম এবং উজ্জ্বলতম নীহারিকাগুলির মধ্যে একটি এবং আমাদের সূর্যের চেয়ে অনেক বেশি বিশাল নক্ষত্রের বাসস্থান।লু

লুকানো এমন অনেক ‘বেবি স্টার’ দেখা গেছে এই ‘মহাজাগতিক ক্লিফস’-এ। নক্ষত্রগুলোর গঠনের প্রথম পর্যায় উঠে এসেছে এতে, যেগুলো একদিন বেরিয়ে আসবে।

ওয়েব টেলিস্কোপের ছবি সোমবার হোয়াইট হাউসে প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নাসা জানিয়েছে, ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের তোলা প্রথম ছবি এটি। প্রথম ছবিটি প্রকাশ করে নাসা জানিয়েছে, এই ছবি নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে তোলা মহাকাশের ‘গ্যালাক্সি ক্লাস্টার ০৭২৩’-র ছবি।

তবে নাসা জানিয়েছে ওয়েব টেলিস্কোপ মহাকাশের যে অংশটির ছবি তুলেছে সেটি মহাকাশের ক্ষুদ্রতম একটি অংশ মাত্র। কতটা ছোট, তা বোঝাতে নাসা বলেছে হাতের তালুতে ধরা একটা ছোট্ট বালির দানা বলা যেতে পারে ওই ছবিকে। তবে ওয়েবের সাহায্যে আগামী দিনে বহির্বিশ্বের আরও রহস্যভেদ করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com