ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদের দিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রার্থী ঋষি সুনক। বরিস জনসনের আসনে বসার জন্য তার নিজের দল কনজারভেটিভ পার্টিতেই প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে চতুর্থ দফার নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন দেশের সাবেক অর্থমন্ত্রী সুনক। তবে তার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবধান আরো কমিয়ে এনেছেন।
এবারের নির্বাচন ২০১৯ সালের মতো হবে না। ওইবার বরিস জনসন সুস্পষ্টভাবে এগিয়ে ছিলেন। এবার শেষ পর্যন্ত কে জয়ী হবেন, তা বলা খুবই কঠিন। অনেকেই বলছেন, এখন ঋষি সুনক এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত তার একক প্রতিদ্বন্দ্বী যিনিই হন না কেন, তিনিই জয়ী হবেন।
মঙ্গলবার প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়েছেন বিদ্রোহী এমপি কেমি বাডেনোচ। ফলে এখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে রয়েছেন তিনজন। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য চতুর্থ দফায় ভোট দিয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা।
নিজের দলের ১১৮ জন আইনসভা সদস্যের ভোট পেয়েছেন সুনক। প্রধানমন্ত্রী পদে চূড়ান্ত প্রার্থী হতে গেলে সুনকের দরকার নিজের দলের ১২০ জন আইনসভা সদস্যের সমর্থন। অর্থাৎ পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ পার্টির যতজন এমপি রয়েছেন, তাদের এক তৃতীয়াংশের সমর্থন।
সোমবারের ভোটে আইনসভার ১১৫ জন সদস্য সুনককে ভোট দিয়েছিলেন। সেখান থেকে চতুর্থ দফায় তার ভোট বেড়েছে। সোমবারের ভোটে বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মরডুয়ান্ট পেয়েছিলেন ৯২টি ভোট। পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস পেয়েছিলেন ৮৬টি ভোট। তবে অনেকেরই আশঙ্কা, কেমি লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়ায় তার ভোট পাবেন ট্রাস। সে ক্ষেত্রে তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসতে পারেন।
সূত্র : আলজাজিরা ও আনন্দবাজার পত্রিকা