শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২৫ অপরাহ্ন

‘আমি ভীষণভাবে লজ্জিত ও দুঃখিত’

বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২
  • ১৪৭ বার

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে রাজনৈতিক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে খবরের শিরোনাম হওয়ার পর দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার আর বুধবার কোথাও পাবলিকলি কথা বলার সুযোগ হয়নি। তাই আমি এই সুযোগটি গ্রহণ করলাম। আশা করি, আপনারা ক্ষমা করবেন।’

গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু অলিম্পিয়াড ও শিক্ষাঙ্গন ডটকমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এর আগে, গত সোমবার রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় পাশাপাশি পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আয়োজন করা হয়েছিল থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এ নিয়ে দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।

এ বিষয়ে দীপু মনি বলেন, ‌‘সারা দেশে খেলার মাঠের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। খোলা মাঠ বলতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ রয়েছে। এর বাইরে তেমন মাঠ নেই। আমরা রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় এলাকাভিত্তিক যে অনুষ্ঠান করি সেখানে দেখা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসব আয়োজন করা হচ্ছে। বিকল্প কোনো জায়গা না থাকার কারণে স্কুল-কলেজের মাঠ বা খোলা জায়গা ব্যবহার করি।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের একটি নির্দেশনা রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত অনুষ্ঠান তাদের মাঠে করবে। তবে বাইরের কোনো রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়িক হোক বা অনেক সময় হাটবাজার বসানো হয় আবার মেলা বসানো হয়। সেগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে করতে আমরা নিরুৎসাহিত করি। অনেক স্থানে বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে এসব অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকলেও পাঠদান ব্যাহত করে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। তবে স্কুল-কলেজ বন্ধের দিন এসব অনুষ্ঠান করা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি খুবই বিব্রত এবং একেবারেই আমার অজান্তে এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। তিনদিন আগে আমি ঢাকার দক্ষিণ খান এলাকায় একটি রাজনৈতিক সমাবেশে গেছি। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে রাজনৈতিক সমাবেশ করা হয়। আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। আমি বিষয়টি জানতাম না। ওখান থেকে চলে আসার পর জানতে পেরেছি, অনুষ্ঠানটি যে মাঠে আয়োজন করা হয়েছে তার আশপাশে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে সেসব স্কুলের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করে থাকে। যদিও আমাকে বলা হয়েছে, সেদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চলেছে। সমাবেশের জন্য সেখানে প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে, তাই সেখানে ক্লাস চলেও থাকে, তাহলেও একেবারে নির্বিঘ্নে চলেছে তা বলার কারণ নেই।’

দীপু মনি বলেন, ‘আমি ভীষণভাবে লজ্জিত ও দুঃখিত। আমি নিজে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছি। বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে এ ধরনের অনুষ্ঠানে আমি অংশগ্রহণ করেছি। আমি জানি না সেখানে বিকল্প জায়গা ছিল কি না। এ ধরনের রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়িক অনুষ্ঠান বিকল্প স্থানে করা হয়ে থাকে। আর যদি বিকল্প স্থান না থাকে তবে স্কুল-কলেজ ছুটির দিনে এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হবে। শিক্ষা কার্যক্রম যেন কোনোভাবে ব্যাহত না হয় সেটি করতে হবে।’

‘আমি অনুরোধ জানাবো এ ধরনের অনুষ্ঠান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আয়োজন করার ক্ষেত্রে সেখানকার দায়িত্বরতদের সঙ্গে আলোচনা করে বন্ধের দিন যেন আয়োজন করা হয়,’ যোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com