আল কায়েদার সমর্থক ও সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলায় আল কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরি হত্যার বদলা নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্ভাব্য মার্কিন বিরোধী হামলায় শঙ্কায় বিশ্বজুড়ে মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবিসি বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আল-জাওয়াহিরি হত্যার জবাব দিতে করণীয় ঠিক করতে বুধবার কাবুলে বৈঠক করেছেন তালেবানের শীর্ষ নেতারা।
গত সোমবার কাবুলের একটি বাড়িতে ছিলেন আয়মান আল-জাওয়াহিরি। ড্রোন থেকে দুটি মিসাইল ছুড়ে জাওয়াহিরিকে হত্যা করা হয়। যখন ড্রোন থেকে মিসাইল ছোড়া হয় তখন তিনি ওই বাড়ির ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে মিসাইল হামলায় জাওয়াহিরির পরিবারের অন্য সদস্যদের কোনো ক্ষতি হয়নি।
এক দশকের বেশি আগে আল কায়েদার তৎকালীন শীর্ষ নেতা যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পর এটাই ওই সংগঠনের ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পর মিশরের চিকিৎসক জাওয়াহিরি আল কায়েদার প্রধান হন।
অবশ্য মার্কিন ড্রোন হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও তালেবানের তরফ থেকে জাওয়াহিরির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
তবে মার্কিন ড্রোন হামলার ব্যাপারে কাবুলে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত একজন তালেবান নেতা রয়টার্সকে বলেছেন, ড্রোন হামলার বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত কি না তা নিয়ে খুব উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক চলছে। তারা যদি জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে সমুচিত জবাবই দেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই তালেবান নেতা বলেন, দুই দিন ধরে নেতৃস্থানীয়দের দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। তবে জাওয়াহিরি যে বাড়িতে ছিলেন সেখানেই মার্কিন ড্রোন আঘাত হেনেছে কী না তা নিশ্চিত করেননি ওই তালেবান নেতা।
এক বছর আগে কাবুলে মার্কিন-সমর্থিত সরকারের পরাজয়ের পর এই হামলার ব্যাপারে তালেবান কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় তা উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।