দেশের নন্দিত নির্মাতাদের একজন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। দর্শক-শ্রোতাদের তিনি উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় নাটক ও সিনেমা। তার নির্মিত কাজগুলোতেও ভিন্নতা খুঁজে পায় দর্শক মহল। আর সে কারণেই ফারুকীর নির্মাণ মানে ভিন্ন কিছু, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০১৯ সালের মাঝামাঝিতে এই নির্মাতা ‘শনিবার বিকেল’ শিরোনামে একটি সিনেমার কাজ শেষ করেন। যেখানে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন- জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ও জাহিদ হাসান।
সিনেমাটি এরই মধ্যে দেশ-বিদেশের বহু উৎসব মাতিয়েছে, সঙ্গে অর্জন করেছে সম্মাননাও। তবে ‘অদৃশ্য’ কারণে সিনেমাটি এখনো বাংলাদেশে মুক্তি পায়নি। আর এ নিয়ে ক্ষোভের কথা প্রকাশ করলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
তার ভাষ্য, ‘আজকে সকাল সকাল মনটা খারাপ হয়ে গেল! এ রকম কত সকাল যে আমার গেছে। আমি একটা ছবি বানাইছি “শনিবার বিকেল” নামে। যেটা সেন্সর বোর্ড সদস্যরা দেখে বিভিন্ন পত্রিকায় ইন্টারভিউ দিয়ে বললেন, “আমরা দ্রুতই সেন্সর সার্টিফিকেট দিয়ে দিচ্ছি।” তারপর এক অদৃশ্য ইশারায় ছবিটার দ্বিতীয় শো করে তারা। এবং তারপর বলে দিলো, “ছবি ব্যান”। আমরা আপিল করলাম। আজকে সাড়ে তিন বছর হলো আপিলের। কোনো উত্তর নাই এবং আমাদেরও বুঝি কিছু বলার নাই। কারণ তারাপদ রায়ের কবিতার মতো আমাদের কখন সর্বনাশ হয়ে গেছে আমরা টেরও পাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে “শনিবার বিকেল”র উপর ইস্টার্নকিকের রিভিউটা হঠাৎ সাজেস্ট করলো আমাকে অ্যালগোরিদম। এটা আমি আগে পড়ি নাই। পড়ে মনে হইলো আমরা ফুল, পাখি, লতা, পাতা নিয়া ছবি বানাইলে ”ঠিক আছে”! এমন কিছু বানানো যাবে না, যেখানে আমাদের চেহারা দেখা যায়। কিন্তু আমি তো চিরকাল সেসব গল্পই বলে আসছি যেখানে আমাদের চেহারা দেখা যায়, সেটা প্রেমের গল্পই হোক আর রাজনীতির গল্পই হোক। আমি তো অন্য কিছু পারি না। তাহলে পাখি সব যে রব করবে, সেটা কি নতুন সুরে করতে হবে? নতুন সুর শিখতে হবে?”
উল্লেখ্য, ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমায় জাহিদ হাসান ও তিশার পাশাপাশি আরও অভিনয় করেছেন- ইরেশ যাকের, ভারতের পরমব্রত, ফিলিস্তিনের তারকা ইয়াদ হুরানিসহ আরও অনেকে। সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশ-ভারত-জার্মান। জানা গেছে, বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই এটি মুক্তি পাবে।