নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি এবং অনৈতিক চর্চার অভিযোগের বিষয়ে নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে কোনো প্রশ্নের জবাব দেন নি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক্ষেত্রে তিনি সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর আশ্রয় নিয়েছেন।
ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের জালিয়াতি নিয়ে তদন্তের অংশ হিসেবে নির্ধারিত সময় বুধবার নিউ ইয়র্ক স্টেইটের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে হাজির হন ট্রাম্প। পরে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, তার আইনজীবী এবং উপদেষ্টাদের পরামর্শে তিনি আইন কর্মকর্তাদের প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, দেশের সংবিধান প্রতিটি নাগরিকের যে অধিকার এবং সুবিধা দিয়েছে তার আলোকে তিনি জবাব দেয়া থেকে বিরত থাকেন। এর আগে গত মাসে এই তদন্তে সাক্ষ্য দেন ট্রাম্পের ছেলে ডনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এবং মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প।
বুধবার জবানবন্দি দিতে নিউ ইয়র্ক অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প টাওয়ার ছেড়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে থামস আপ দেখান সাবেক প্রসিডেন্ট। এ সময় তার মধ্যে স্বভাবসুলভ বেপরোয়াভাব ছিল।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের আর্থিক জালিয়াতি নিয়ে তদন্ত শুরু করে নিউ ইয়র্ক অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস। অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস দাবি করেন, ব্যবসায়িকভাবে বেশি লাভের সুবিধা নিতে এবং সম্পদের মূল্য বৃদ্ধি করতে ট্রাম্প অর্গানাইজেশন মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর আর্থিক নথি ব্যবহার করেছে যার উল্লেখযোগ্য তথ্য প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে।
বুধবার দেয়া বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, যখন কারো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কিংবা তার আশপাশের মানুষেরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ‘উইচ হান্টের’ মুখে পড়ে, যাকে কিছু আইনজীবী, ভুয়া সংবাদমাধ্যম সমর্থন দেয়। সেখানে তার জন্য কোনো বিকল্প পথ খোলা থাকে না।
ট্রাম্প বলেন, গত সপ্তাহে ফ্লোরিডায় তার মার-আ-লাগো রিসোর্টে এফবিআইয়ের অভিযান তাকে সাক্ষ্য না দিতে আরো বেশি শক্তি যুগিয়েছে।
সূত্র : পার্সটুডে