বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন

সুইস ব্যাংকে অর্থ একজনের তথ্য পাওয়া গেছে, হাইকোর্টে প্রতিবেদন

বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২
  • ১১৩ বার

সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশের ৬৭ জনের অর্থ জমা নিয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। বিপরীতে মাত্র একজনের তথ্য পাওয়া গেছে বলে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা (বিএফআইইউ)।

রোববার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সুইস ব্যাংকে অর্থ জমা নিয়ে বাংলাদেশ সরকার কো‌নো তথ্য কেন চায়‌নি তা জানতে চান হাইকোর্ট। রোববারের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলেরও নিদের্শ দেয়া হয় দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে।

তার পরিপ্রেক্ষিতে আজ হাইকোর্টে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইজারল্যান্ডের (সুইস) বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশের ৬৭ জনের অর্থ জমা নিয়ে তথ্য চাওয়া হলেও বিপরীতে মাত্র একজনের তথ্য জানিয়েছে সুইজারল্যান্ডের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (এফআইইউ)। বাকি ৬৬ জনের সম্পর্কে তারা কিছুই জানায়নি।

তার আগে গত বুধবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের অর্থ জমা নিয়ে কিছু জানতে চায়নি সরকার। তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী তথ্য চাইলে সহযোগিতা করবে সুইজারল্যান্ড।

সুইজারল্যান্ড কালো টাকা রাখার স্বর্গরাজ্য নয়- এ বিষয়ে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে জানিয়ে সুইস রাষ্ট্রদূত ব‌লেন, বাংলাদেশ সরকার সুইজারল্যান্ড সরকারের কাছে নির্দিষ্ট করে কারো সম্পর্কে তথ্য চায়নি। সুইজারল্যান্ড সরকার সুইস ব্যাংকের ত্রুটি সংশোধন করতে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সুইস ব্যাংক আন্তর্জাতিক সব প্রক্রিয়া মেনেই কাজ করে। সেখানে কালো টাকা বা দুর্নীতির অর্থ রাখার কোনো নিয়ম নেই।

সুইস রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক বা এসএনবির ২০২২ সালের জুন মাসে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী গত বছরে বাংলাদেশীরা প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা করেছেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশীদের আমানত দাঁড়িয়েছে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ। প্রতি ফ্রাঁ বাংলাদেশি ৯৫.৭০ টাকা হিসাবে মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশীরা কত টাকা জমা রেখেছেন, ওই তথ্য প্রতি বছর সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক দিয়ে থাকে। ওই অর্থ অবৈধ পথে আয় করা হয়েছে কিনা, এটি আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।

নাথালি চুয়ার্ড বলেন, তথ্য পেতে হলে কী করতে হবে, সে সম্পর্কে আমরা সরকারকে জানিয়েছি। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো তথ্যের জন্য আমাদের কাছে অনুরোধ করা হয়নি। আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুই পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে এ ধরনের তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব এবং সেটি তৈরি করতে হবে। এটি নিয়ে আমরা বাংলাদেশের সাথে কাজ করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com