রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় ৫০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা দেড় হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়াসহ পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে গঙ্গাচড়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বুলবুল আহমেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এ সময় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে পুলিশ লাঠিচার্জসহ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় গঙ্গাচড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেনসহ ১৫ পুলিশ সদস্য ও শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়।
গঙ্গচড়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. মমতাজুল হক বলেন, ‘গতকাল দুপুরে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল আলীম মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আহত পুলিশ সদস্যদের খোঁজখবর নিয়েছেন। বর্তমানে গঙ্গাচড়ায় স্বাভাবিক পরিস্থিত বিরাজ করছে।’ আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার পর গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত গঙ্গাচড়া বাজারের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে কিছু দোকান খুলতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। এদিন উপজেলার বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশী টহল জোরদার করা হয়।
রংপুর জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোকাররম হোসেন সুজন দাবি করেন, ‘বৃহস্পতিবার পুলিশের লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেটে আমাদের দেড় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত পুলিশের ভয়ে অনেকে বাড়ি ছাড়া। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘটনার দিন সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন।’
অন্যদিকে বিএনপি ও ছাত্রদলের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং পুলিশ-সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল বিক্ষোভ মিছিল করেছে গঙ্গাচড়া উপজেলা ছাত্রলীগ। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগসহ জেলা ছাত্রলীগের নেতারাও অংশ নেন।