দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্কটের মধ্যেও সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে বাংলাদেশ এক হাজার আট দশমিক ৬৭ মিলিয়ন (১০০০ মিলিয়ন = ১ বিলিয়ন) মূল্যের রেমিটেন্স এসেছে।
ব্যাংকাররা জানান, রেমিটেন্স প্রবাহের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার অন্যতম কারণ হলো টাকার মানের অবমূল্যায়নের জন্য প্রবাসীরা উৎসাহিত হওয়া। কেননা দেশে প্রতি ডলার ১০৮ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ জুলাই মাসে দুই দশমিক নয় বিলিয়ন এবং আগস্ট মাসে দুই দশমিক তিন বিলিয়ন রেমিটেন্স পেয়েছে। যা বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্কটের মধ্যে একটি আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আরো রেমিট্যান্স আকৃষ্ট করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন প্রক্রিয়া সহজ করেছে। সরকার রেমিটেন্স প্রণোদনার পাশাপাশি নীতিগত সহায়তাও দিচ্ছে।
এই খাত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, মহামারীর পরের সময়ে বিদেশের চাকরির বাজার বৃদ্ধি পাওয়ায় গত অর্থবছরে জনশক্তি রফতানি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আর তাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহও বেড়েছে।
ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিএমইটি) এর তথ্যে দেখা গেছে, ২০২২ অর্থবছরে নয় দশমিক ৮৮ লাখেরও বেশি কর্মীবিদেশ গিয়েছে। যেখানে ২০২১ অর্থবছরে এই পরিমাণ ছিল দুই দশমিক ৭১ লাখ।
গত সাত বছরের মধ্যে এ বছরেই সর্বোচ্চ মানুষ চাকরি করতে বিদেশ গেছে।
এটি অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতেও অবদান রাখছে।
সূত্র : ইউএনবি