‘দলটা যেন রঙ্গমঞ্চ, ওপেনিং তার সদর দফতর।’ এই বাক্যটাই হয়তো এখন ভালো যায় বাংলাদেশের সাথে। দলও যেমন একের পর এক হেরেই চলেছে, ওপেনিংয়েও যেন ব্যর্থতা ভালোবাসার ঘর বেঁধেছে। ওপেনার সঙ্কটে অবস্থাটা যখন ‘ওপেনার চাই’ বিজ্ঞাপন প্রয়োজন, মিরাজ-সাব্বিরই ম্যানেজমেন্টের আশা তখন।
অভিজ্ঞতা নেই, অনুশীলনও নেই উদ্বোধনীতে এই জুটি যেন ভেসে উঠে হঠাৎ করেই। সর্বশেষ এ দলে ডাক পেলেও সাব্বির দেশজুড়ে ঘুরেফিরে খ্যাপ খেলে বেড়াচ্ছিলেন পাড়ার ক্রিকেটে। সেখান থেকেই তাকে দাঁড় করিয়ে দেয়া হলো ওপেনিংয়ে। আর মিরাজ? ২০১৮ সালের পর হঠাৎ করে ফের টি-টোয়েন্টি দলে। অথচ বলার মতো পারফরম্যান্স নেই ঘরোয়া ক্রিকেটে।
এরাই যেন বিসিবি সভাপতির বুক ফুলিয়ে দাবি করা ‘দীর্ঘ পাইপলাইনের’ চিত্র। যেন জোর করে ধরে এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, সাব্বিরের পারফরম্যান্স অন্তত তাই বলে। ফ্রি হিট বলে এক ছক্কা মেরে কোচদের বাহবা পাওয়া, ভরসা পাওয়া সাব্বির ব্যর্থ গতকালও। প্রত্যাবর্তনের পর তার ইনিংসগুলো যথাক্রমে ৫, ০, ১২, ১৪। অর্থাৎ ৪ ম্যাচে মাত্র ২৯ রান। এই ২৯ রান করতে বল খেলেছেন ৩৬টি। স্ট্রাইকরেট ৮০, গড় ৭-এর সামান্য ওপরে।
মিরাজ যদিও চেষ্টা করছে, তবে সামর্থ্যের দৌঁড়ও তো দেখতে হবে। অভিজ্ঞতা বলতে শুধুই তার ২০১৮ এশিয়া কাপ। তামিম ইকবালের ইঞ্জুরির ফলে ফাইনালে লিটন দাসের সাথে নেমেছিলেন উদ্বোধনীতে। যদিও তা ওয়ানডে ক্রিকেটে। তবে তার চেয়ে বড় কথা, বিশ্বকাপের মতো একটা আসরে খেলতে গিয়েছে দল ‘মেকশিফট’ ওপেনার নিয়ে।
দলও হেরে চলেছে ধারাবাহিকতা ধরে রেখে। শেষ ২০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের হেরেছে ১৬টিতেই। জয় মাত্র চারটি ম্যাচে। সেই চারটির একটা দেশের মাটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আরেকটা জয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আর শেষ দুটো জয় তো স্মৃতিতে তাজা, আরব আমিরাতের বিপক্ষে। অর্থাৎ, যেই চারটি জয়ও আছে ঝুলিতে, গর্ব করাও যাবে না তা নিয়ে।