জাহিদ মিন্টু। নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটির সমাজসেবীদের একজন। নিরবে-নিভৃতে মানুষের সেবা করাই যার কাজ। একেবারেই প্রচার বিমুখ জাহিদ মিন্টু পুরো দুস্তর ধর্মপ্রাণ মানুষ। ব্যক্তিগত জীবনে কন্সট্রাকশন ব্যবসায়ী জাহিদ মিন্টু বর্তমানে বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটি ইউএসএ’র সাধারণ সম্পাদক। ২০১৪ সাল থেকে এই পদে তিনি বহাল রয়েছেন। তিনি দুই মেয়াদ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন শেষে এবার বিদায় নিচ্ছেন। বৃহত্তর নোয়াখালী প্রবাসীদের দাবী ছিলো জাহিদ মিন্টু পুনরায় সাধারণ সম্পাদক থাকুন। এজন্য তারা প্রয়োজনে সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিবর্তনও করতে রাজী ছিলেন। কিন্তুু নিজের জন্য সোসাইটির গঠনতন্ত্র পরিবর্তন চাননি জাহিদ মিন্টু।
জাহিদ মিন্টুর কথা- একই ব্যক্তি বার বার একই পদে কেনো থাকবেন। নতুন নেতৃত্ব আসতে হবে, তার সুযোগ করে দিতে হবে। তবে তিনি হতাশ করেননি তার বন্ধু, সমর্থক আর শুভান্যুধায়ীদের। নোয়াখারি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক পদে আর না থাকলেও থাকছেন আগামী ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে গঠিত কার্যকরী পরিষদে। ‘মানিক-জসিম’ প্যানেল থেকে তিনি কার্যকরী পরিষদে থাকছেন এবং ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
জানা যায়, জাহিদ মিন্টু ২০১১ সালে কার্যকরী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটিতে প্রত্যক্ষভাবে নেতৃত্বে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৭ সালে একই পদে পুনরায় নির্বাচিত হন। সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে তিনি ‘রব-রুহুল’ প্যানেলের বিজয়ের নেপথ্যের কারিগর হিসেবে সাংগঠনিক দক্ষতায় নিজেকে আরো যোগ্য করে তুলেছেন। বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন পরবর্তী আলোচনায় অনেকেই সোসাইটির আগামী দিনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ভাবছেন জাহিদ মিন্টুকে। পাশাপাশি করোনা মহামারীর সময় প্রবাসীদের পাশে থাকা ছাড়াও বিভিন্নভাবে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা বাংলাদেশীদের বিপদ-আপদে, কারো মরদেহ দেশে প্রেরণ বা লাশ দাফন ছাড়াও অন্য কোন বিপদ-আপাদে পাশে দাঁড়িয়ে সেবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জাহিদ মিন্টু।