শিক্ষক ও সাংবাদিক আনিস আহমেদের নতুন কবিতার বই ‘প্রদীপ্ত প্রেম’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
গত রবিবার ওয়াশিংটনে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে নিভৃতচারী এই কবির ৮ম কবিতার বই প্রকাশ পেল। সহযোগিতায় ছিল-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ফোরাম ইনক্।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ওয়াহিদ হোসায়নি। ভিডিও প্রদর্শন করেন শফিক ইসলাম ও স্বাগত ভাষণ দেন ভয়েস অব আমেরিকার সাংবাদিক শতরূপা বড়ুয়া।
করোনা পর বাঙালি কমিউনিটি দীর্ঘদিন পরে অনুষ্ঠানকে ঘিরে আবৃত্তি, নাচে-গানে খুবই মজেছিল। আবৃত্তি ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন লাইলা হাসান, ‘নিদ্রা তোমার, নিঃস্ব আমি’ কবিতা পাঠ করেন সরকার কবীরুদ্দিন, কবিতার বই নিয়ে আলোচনা ড. আনিসুর রহমান, চাই প্রদীপ্ত প্লাবন কবিতা পাঠ করেন সোমা বোস।
সঙ্গীত পরিবেশনায় অনুষ্ঠানে ভিন্নতা আনেন রুমা ভৌমিক, ভেঙ্গে মোর ঘরের চাবিতে নৃত্য করেন রোকেয়া হাসি, দ্বন্দ্বের ধন্দ কবিতা আবৃত্তি করেন শাহনাজ ফারুক, ‘সেদিনের সোনা ঝরা সন্ধ্যায়’ সঙ্গীত জুয়েল বড়ুয়া, ‘বিষাক্ত বাতাস ও অধর্মের কল’ কবিতা নাকিবুদ্দিন, ‘ইচ্ছেরা সব’ কবিতা সুলতানা আহমেদ, তুমি রবে নিরবে নৃত্য করেন রোজমেরি রেবেইরো মিতু, ছিঁটেফোটা ভালোবাসা কবিতা সাদিয়া খান জেরি, আমি যে জলসাঘরে সঙ্গীত পরিবেশনা করেন ক্লেমেন্ট গোমেজ, তোমরা যা বল তাই বল সঙ্গীত ডারোথি বোস।
রম্য আলোচনা করেন, কুলসুম আলম খুকি ও মিজানুর রহমান খান। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন-কাইউম খান, আর সবশেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইশরাত সুলতানা মিতা।
অনুষ্ঠানে কবি তার বই সম্পর্কে নিজের অবস্থান তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন আনিস আহমেদ।
বইটি সম্পর্কে কবি বলেন, ‘প্রদীপ্ত প্রেম সে কেবল নিজের হৃদয়কে আলোকিত করে। ইশ্বর প্রেম, দেশ প্রেম এবং মানব-মানবীর প্রেমে।’
আনিস আহমেদ বলেন, কবিতাকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে একটি বিমূর্ত শিল্প বলে মনে করি। অন্যান্য বিমূর্ত শিল্পের মতো কবিতার ও সহজ ব্যাখ্যা সম্ভব নয়। পাঠকই নিজের অনুভূতি অনুযায়ী কবিতাকে বেছে নেবেন নান্দনিক আনন্দের উপাদান এবং সম্ভবত উৎস হিসেবে।
কবি আনিস আহমেদের জন্ম ১৯৫৬ সালের ৬ মার্চ ঢাকার ধানমন্ডিতে। তিনি চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন ১৯৮২ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত।
১৯৯৪ সালে বেতার সাংবাদিক হিসেবে যোগ দেন বিবিসি লন্ডনে এবং ২০০১ সাল থেকে একই পদে কর্মরত রয়েছেন ভয়েস অফ আমেরিকা ওয়াশিংটনে ।
এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে আনিস আহমেদের কবিতার বই , ইলিশিয়ামের প্রতীক্ষায় ; শব্দ ও নৈঃশব্দের সুর; আলোকিত পালকের জলবিন্দু এবং অন্তরপুরের নিরন্তর স্বপ্ন।