ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে গতকাল শুক্রবার দুপুরে ট্রেন চলাচল নিয়ে ‘হুলুস্থুল’ কাণ্ড ঘটে যায়। অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় তিনটি ট্রেন। এ ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যের কমিটি আজ শনিবার সকাল থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক, সদস্য সহকারী প্রকৌশলী (এএসই) কাজীব ইমাম এবং সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী ইজহারুল ইসলাম (এএমই) সকালে আখাউড়ায় এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক জানান, তারা তদন্ত শুরু করেছেন। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। তবে কী কারণে এমন হয় সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।
সরেজমিন ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস (৪ নম্বর ডাউন) ট্রেনটি দুপুর ১টা ৩৭ মিনিটে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের এক নম্বর লাইনে প্রবেশ করে। দুটি ট্রেনের ক্রসিংয়ের কারণে ট্রেনটি এক ঘণ্টারও বেশি সময় স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে। বিকেল ৩টার দিকে ওই ট্রেনটি দাঁড়ানো অবস্থায়ই ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী ৬০৪ নম্বর কন্টেইনার ট্রেন একই লাইনে প্রবেশ করতে থাকে। চালক বিষয়টি বুঝতে পেরে জরুরি ব্রেক কষে প্রায় ২০০ গজ দূরে ট্রেনটি থামিয়ে দেন। একই সময়ে ট্রেনটির পরিচালকও ব্রেক কষেন। একই সময়ে চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি কন্টেইনার ট্রেনের পাশ দিয়ে যায়।