হার দিয়ে শুরু বিশ্বকাপ। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই শেষে সঙ্গী হয় ৪ উইকেটের পরাজয়। পরের ম্যাচে আরো বড় ধাক্কা, জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে ১৩০ রানের ছোট লক্ষ্যেও হার ১ রানে! এই যখন দলের অবস্থা, সমালোচনার ঝড় উঠে চারদিকে। সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা সমালোচনার বিষাক্ত তীর ছুঁড়তে থাকেন দলের দিকে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে ক’জন পারে?
তবে দলটা পাকিস্তান বলেই তখনো সম্ভাবনা বেঁচে ছিল। নেদারল্যান্ডসকে দিয়ে বদলে যাওয়ার শুরু, দক্ষিণ আফ্রিকাকে বৃষ্টি আইনে ৩৩ রানে হারিয়ে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ নামটার যথার্থ মূল্যায়ন করে পাকিস্তান। টানা দুই জয়ে তবুও সেমিফাইনাল অনিশ্চিত। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা নেদারল্যান্ডসের সাথে শেষ ম্যাচে জিতে গেলে তারাই চলে যাবে সেমিতে।
এমনই যখন সংকীর্ণ সমীকরণ, তখন ফের বিশ্বকাপে অঘটন। অসম্ভবকে সম্ভব করার মতো করে ডাচরা হারিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তাই পাকিস্তান নিজেদের শেষ ম্যাচ শুরু আগেই জেনে যায় তাদের কী করতে হবে। বাংলাদেশকে যেকোনো ব্যবধানে হারাতে পারলেই সেমিফাইনালে যাওয়া যাবে। বিপরীতে হেরে গেলে দেশের বিমান ধরতে হবে।
জিতলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত, হারলেই নিশ্চিত বিদায়, শেষ হয়ে যাবে বিশ্বকাপ। যে জিতবে সেই সেমিফাইনালে পা রাখবে, এমন সমীকরণ সামনে নিয়েই মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। যেখানে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে আগ্রাসী বোলিং তোপে ফেলে ১২৭ রানেই থামিয়ে দেয় পাক বোলাররা। অতঃপর ১২৮ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে ১১ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পা রাখে পাকিস্তান।
অথচ পাকিস্তান সেমিতে যেতে পারে, সম্ভাবনার মতো করে কল্পনা করেছে খুব কম মানুষেই। ক্রিকেট বিশ্লেষকরাও অনেকেই মতামত দিচ্ছিলেন, আজকের ম্যাচটা শুধুই পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিকতার। তবে শেষ মুহূর্তে এসে সব সমীকরণ মিলিয়ে পাকিস্তান এখন বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। সেই সাথে কেন তাদের আনপ্রেডিক্টেবল বলা হয়, তাও যেন স্মরণ করিয়ে দিলো আরো একবার।