কাতারে বিশ্বকাপের জন্য কাজ করা অনেক শ্রমিকের এখনো বেতন বকেয়া রয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শ্রম বিষয়ক সংস্থা৷ বিশ্বকাপ শুরুর মাত্র কয়েকদিন আগে এই অভিযোগের কথা জানালো সংস্থাটি।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও জানিয়েছে, কাতারে কাজ করা শ্রমিকরা ৩৪ হাজার ৪২৫টি অভিযোগ করেছেন, যা গত একবছরের হিসেবে দ্বিগুণ। একটি অনলাইন প্লাটফর্মে এই অভিযোগগুলো করা হয়েছে। অধিকারের বিষয়ে দুর্বল অবস্থানে থাকা দেশটিকে তাই এই বিষয়ে নজর দিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছে আইএলও।
আইএলও’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘শ্রমিকদের করা অভিযোগগুলো মূলত তাদের বেতন এবং চুক্তিশেষের সুযোগসুবিধা না পাওয়া সংক্রান্ত। এমন অভিযোগও এসেছে যে শ্রমিকদের বাৎসরিক ছুটি দেয়া হয়নি বা ছুটির সময়ে বেতন দেয়া হয়নি।”
শ্রমিকদের করা ১০ হাজার ৫০০ অভিযোগ শ্রম ট্রাইব্যুনালে গিয়েছে এবং সেখানকার প্রায় সব বিচারক শ্রমিকদের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
তবে শ্রম সংস্কার কার্যক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে আরো উদ্যোগ প্রয়োজন বলে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফেসার মঙ্গলবার জানিয়েছেন যে, তিনি ২৩ নভেম্বর কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে উপস্থিত থাকতে রাজি হয়েছেন এই প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে যে এলজিবিটিকিউ ফুটবল সমর্থকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
গত সপ্তাহে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মন্তব্য করেন যে, কাতার বিশ্বকাপ আয়োজন করার বিষয়টি বার্লিনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেশ ‘ট্রিকি’ ব্যাপার। এই বক্তব্যের পর কাতারে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছিল দেশটির সরকার।
ফেসার এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ খালেদ বিন খলিফা আল-থানির মধ্যকার বৈঠকেও বিষয়টি উঠেছিল বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। বৈঠকে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে খারিজ করে দিয়েছে কাতার।
উল্লেখ্য, অধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে, কাতারে বিশ্বকাপ সম্পর্কিত বড় প্রকল্পগুলোতে ঠিক কতজন শ্রমিক মারা গেছেন তার সঠিক হিসেব জানাচ্ছে না দেশটি। অভিবাসী শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে ফিফার প্রতি একটি তহবিল গঠনেরও আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনগুলো।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে