কাতারে চলছে বিশ্বকাপ ফুটবলের ২২তম মহাযজ্ঞ। পর্তুগাল কাতারে এসেছে নিজেদের অষ্টম বিশ্বকাপ খেলতে। তবে গত ৫ টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকভাবেই বিশ্বকাপ খেলছে পর্তুগাল। যার চারটিতেই দলের সঙ্গী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
বৃহস্পতিবার রাত ১টায় কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামবে পর্তুগাল। ঘানার বিপক্ষে মাঠে নামার সাথে সাথেই বিরল এক রেকর্ডের মালিক হবেন রোনালদো। ষষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলার কীর্তি গড়বেন তিনি। এর আগে মাত্র পাঁচজন ফুটবলার পাঁচটি করে বিশ্বকাপ খেলে ছিলেন। মেক্সিকোর আন্তনিও কারবাহাল, জার্মানির লোথার ম্যাথিউজ, মেক্সিকোর রাফায়েল মার্কুয়েজ, ইতালির জিয়ানলুইজি বুফন ও লিওনেল মেসি।
বিশ্বকাপে সাফল্যের পাল্লা খুব একটা ভারি নয় পর্তুগালের। ১৯৬৬ ফিফা বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিল তারা। আর ২০০৬ বিশ্বকাপে পর্তুগালের দৌড় সেমিফাইনাল পর্যন্ত। এরপর আর কোনো বিশ্বকাপে সাফল্য আসেনি দলটির। তবে এবারের বিশ্বকাপে পর্তুগালের দল দেখে আশাবাদী হতেই পারেন সমর্থকরা। কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম শক্তিশালী দল হিসেবেও উল্লেখ করা যায় পর্তুগালের নাম।
২০১৬ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল। শিরোপা জিতেছে ২০১৯ সালে নেশন্স লিগেও। এবার বিশ্বজয়ের পথে তাই পর্তুগালের অনুপ্রেরণা হতে পারে এই দু’টা শিরোপা। তাছাড়া ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরও শেষ বিশ্বকাপ এটা। ফলে তার জন্য হলেও শিরোপা জিততে চায় সতীর্থরা।
রোনালদো দলের সেরা তারকা হলেও শুধু তার ওপর ভরসা করে নেই পর্তুগালের। এবার আর কেবল রোনাল্ডোর ওপর নির্ভরশীল নয় তারা, সিআর সেভেন ছাড়াও দলে রয়েছে একঝাঁক নতুন তারকা। ব্রুনো ফার্নান্দেজের দিকে নজর থাকবে ফুটবলবিশ্বের। আন্দ্রে সিলভা, রুবেন নেভেস, বার্নার্ডো সিলভার মতো ফুটবলাররাও থাকবেন নজরে।
এদিকে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি ঘানা। এবার তারা বিশ্বকাপে ভালো করতে মরিয়া। সাম্প্রতিক তাদের পারফর্মেন্সও বেশ ভালো। আট ম্যাচের মধ্যে ৭ ম্যাচ জিতেই বিশ্বকাপ খেলতে নামছে ঘানা। তাই পর্তুগালের বিপক্ষে বেশ আত্মবিশ্বাসীই থাকবে ঘানা। ২০১৪ বিশ্বকাপে শেষবার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল পর্তুগাল-ঘানা। সেবার জোড়া গোল করে দলকে জেতান ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এবারো তাই রোনালদোকে থামাতে এবার আলাদা ছক খুঁজবে ঘানা।