যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া স্টেটে সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ নারীর অন্যতম একজন হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন বাংলাদেশি আমেরিকান ড. নীনা আহমেদ। ফিলাডেলফিয়া সিটি সহ পেনসিলভেনিয়া স্টেট পার্লামেন্টের দীর্ঘ পর্যবেক্ষণে এই ১০০ জন নারী নেতার তালিকা করা হয়েছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, অলাভজনক সংস্থার নেতা, মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত নেতা, শিক্ষাবিদ এবং বিভিন্ন শেণী-পেশার প্রতিনিধিত্বকারি নেতাদের মধ্য থেকে সেরা নারীদের এই তালিকা ২৮ নভেম্বর প্রকাশ করেছে স্টেট ও সিটি প্রশাসন।
ড. নীনার এই সম্মান প্রাপ্তির জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে ‘বাংলাদেশি আমেরিকান কমিউনিটি ফোরাম অব পেনসিলভেনিয়া’র নেতৃবৃন্দ। উত্তর আমেরিকায় বাংলা ভাষার সর্বাধিক জনপ্রিয় ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’র পক্ষ থেকেও প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে ড. নীনার প্রতি।
ড. নীনা দীর্ঘ ৩৫ বছরের অধিক সময় যাবত অভিবাসী সমাজের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে কাজ করছেন। তৃণমূলে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ড. নীনা প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপদেষ্টা পরিষদের একজন হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র হিসেবেও প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন। ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর উইমেন্স-পেনসিলভেনিয়া চ্যাপ্টারের প্রধান, ফিলাডেলফিয়া সিটির সপ্তম ওয়ার্ডের কমিটিওম্যান, পেনসিলভেনিয়া ডেমক্র্যাটিক পার্টির স্টেট কমিটির সদস্য হিসেবে এশিয়ান আমেরিকান এ্যান্ড প্যাসিফিক আইল্যান্ড ককাসের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। ব্যক্তিজীবনে বিজ্ঞানী হয়েও ড. নীনা মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করেছেন। পেনসিলভেনিয়াস্থ রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্ট এবং ফাইন্যান্সিং সংস্থা ‘জেএনএ ক্যাপিটলের অন্যতম মালিক ড. নীনা ডেমক্র্যাটিক পার্টির একজন নিবেদিত সংগঠক হিসেবে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সুনজরে রয়েছেন।
প্রথম প্রজন্মের বাংলাদেশি আমেরিকান হিসেবে নিজের কর্মের মাধ্যমে বহুজাতিক এ সমাজে বিশেষ স্থানে অধিষ্ঠিত হবার বিরল গৌরব অর্জনের অনুভূতি প্রকাশকালে ড. নীনা আহমেদ বলেন, আমি নিজেকে গভীরভাবে সম্মানিত বোধ করছি, বিশেষ করে এই ধরনের ট্রেলব্লেজারদের সাথে আমার নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য। একজন তরুণ অভিবাসী হিসেবে এদেশে এসে আমি কখনো ভাবিনি যে, আমি এমনভাবে স্বীকৃত ও সম্মানিত হব। এজন্য কম্যুনিটির সকলের কাছে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন যারা তাকে এতটুকু পথ আসতে সাহায্য করেছেন।