মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জুটির কল্যানে ভারতকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। ৫০ ওভারে টাইগারদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৭১ রান। সেঞ্চুরি করেছেন মিরাজ আর হাফ-সেঞ্চুরি মাহমুদউল্লাহ।
বিরতির পর ২৭২ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামবে ভারত।
সকালে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। তার সাথে ওপেনিংয়ে ছিলেন এনামুল হক বিজয়। শুরুটা ভালোই করেছিলেন তারা। কিন্তু সেই ভালোটা বেশিক্ষণ রইলো না। ৯ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১১ রান করা বিজয় জীবন পেয়েও সেটা হেলায় নষ্ট করেন।
মোহাম্মদ সিরাজের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে স্লিপে সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন বিজয়। কিন্তু রোহিত শর্মা সেই ক্যাচ ফেলে দেন। হাতে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন ভারতীয় অধিনায়ক। পরের বলেই আউট বিজয়।
ওভারের পঞ্চম বলটি বিজয়ের প্যাডে বল লাগলে আবেদন করেন সিরাজ, আম্পায়ারও আঙুল তুলে দেন। অধিনায়ক লিটন দাসের সঙ্গে পরামর্শ করে রিভিউ নিয়েছিলেন টাইগার ওপেনার। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়, বল মিডল স্টাম্পে আঘাত হানতো।
এনামুল হক বিজয়ের পর লিটন দাসকেও সাজঘরের পথ দেখান মোহাম্মদ সিরাজ। ভারতীয় এই পেসারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক (২৩ বলে ৭)।
ইনিংসের ১২তম ওভারে উমরান মালিক বল হাতে নিয়েই গতিতে ঝড় তুলেছেন। সাকিব আল হাসানকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাকে সামলাতে। এক ওভারেই কয়েকবার পরাস্ত হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে ওই ওভারটি মেইডেন দিলেও আউট দেননি সাকিব।
এক ওভার পর নাজমুল হোসেন শান্তকে পেয়ে আর উইকেট তুলে নিতে দেরি করেননি উমরান। প্রথম বলেই তিনি ১৫১ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতির এক বলে ভেঙে দেন শান্তর স্টাম্প। ৩৫ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২১ রান করে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
এরপর সাকিব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ওয়াশিংটন সুন্দরকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে আকাশে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ২০ বলে ৮ রানেই থামে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের ইনিংসটি।
দলের এই অবস্থায় হাল ধরেন মিরাজ আর মাহমুদল্লাহ। দুর্দান্ত তালমিলে এই জুটি চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায়। পাশাপাশি নিজেদের সংগ্রহও সমৃদ্ধ করেন।
তবে ব্যক্তিগত ৭৭ রানে সাজঘরে ফিরেন মাহমুদউল্লাহ। ৯৬ বলে সাত বাউন্ডারিতে এই স্কোর গড়েন তিনি।
তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন নাসুম আহমেদ। মিরাজকে সঙ্গ দেন তিনি।
শেষ ওভারে দুটি ছক্কায় ১৫ রান তুলে সেঞ্চুরি করেন মিরাজ। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক। ৮৩ বলে আটটি বাউন্ডারি ও চারটি ছক্কা দিয়ে সেঞ্চুরি করেন তিনি।
ভারতের ওয়াশিংটন সুন্দর সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেন। আর দুটি করে উইকেট নেন উমরান মালিক ও মোহাম্মদ সিরাজ।