সর্বদা ক্লান্ত লাগাটা অনেকের জন্য রোগে পরিণত হয়েছে। এই ক্লান্তি দূর করার সমাধানও রয়েছে আপনার হাতে। চলুন দেখে নেওয়া যাক তেমন কিছু টিপস।
সবার আগে আপনাকে মানসিকভাবে খুব শক্ত হতে হবে। এ জন্য সকালে ঘুম ভাঙার পরে আবার বিছানায় পড়ে থাকা চলবে না, জোর করে হলেও তুলে ফেলুন নিজেকে। আর সব ধরনের কাজে অভ্যাস রাখবেন। এটা পারব না, ওটা পারব না বলবেন না। একটা রুটিন করে ফেলুন, কাজে গতি আনুন যাতে ঝিমুনিরোগ আর ক্লান্তি চলে যায়
খাওয়া-দাওয়ায় কোনো সমস্যার জন্য যদি আপনার ক্লান্তিবোধ হয়, তো অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসুন। বেশি খাবার আপনার শরীরকে ভারী করে ফেলতে পারে। তখন ক্লান্ত লাগে, শুধু চোখ বুঁজে শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। এই ভয়ে আবার খাওয়া ছেড়ে দেবেন না, দুর্বলতা চলে আসবে। শরীরের যতটুকু প্রয়োজন সেটুকুই খাবেন। পুষ্টিকর খাবার খান, একবারে পেট ভরে না খেয়ে বারবার খেলে ক্লান্তি কমে যাবে।
মানসিক চাপ আপনাকে অনেক বেশি দুর্বল আর ক্লান্ত করে তোলে। মানসিক চাপ শরীরে অতিরিক্ত অ্যাড্রেনালিন আর অন্য অনেক হরমোনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, শরীর অবসন্ন হয়ে পড়ে বলে ক্লান্ত লাগে।
অতিরিক্ত ওজন ক্লান্তির অন্যতম প্রধান কারণ। তাই শরীরের মেদ কমিয়ে ফেলুন। তবে হঠাৎ করে খাওয়া কমিয়ে ওজন কমাবেন না, ধীরে ধীরে কমান। হঠাৎ ওজনহ্রাস আমাদের অনেক বেশি ক্লান্ত করতে পারে।
আমাদের অনেকেরই একটা অভিযোগ থাকে সেটা হলো, জীবনটা একেবারে একঘেয়েমি হয়ে গেছে। তাই একঘেয়েমি কাটিয়ে চমৎকার সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। প্রতিদিন একই কাজ করে নিশ্চয়ই হাঁপিয়ে উঠেছেন। তাই কাজে ভিন্নতা নিয়ে আসুন। কারণ প্রতিদিন একই কাজ আমাদের ক্লান্ত করবে। আর পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস করুন, সময় পেলেই বিশ্রাম নিন।
বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের কারণেও শরীর ক্লান্ত হয়। এই যেমন হার্টে সমস্যা, ডায়াবেটিস, পেটে অ্যাসিডিটি বা হজমে সমস্যা হল, খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম হলে আপনি দুর্বল হয়ে পড়বেন। এই রোগজনিত ক্লান্তিভাব হলে অবহেলা করে কাটিয়ে দেবেন না, অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান এবং নিয়ম মেনে চিকিৎসা নিন।