বাংলাদেশি আমেরিকান ড. নীনা আহমেদ সামনের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া সিটির ‘কাউন্সিল এ্যাট লার্জ’ পদে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। এটি হচ্ছে সিটি মেয়রের সমার্থক একটি পদ অর্থাৎ মেয়রের মতো তাকেও পুরো সিটির ভোটে বিজয়ী হতে হবে।
সর্বশেষ ২০২০ সালে ড. নীনা পেনসিলভেনিয়া স্টেট অডিটর জেনারেল পদে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিসেবে ৩১ লাখ ২৯ হাজার ১৩১ ভোট পেয়েও জয়ী হতে পারেননি। রিপাবলিকান পার্টির টিমোথি ডিফুর ৩৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯ ভোট পেয়ে জয়ী হন।
উল্লেখ্য, এর আগে ড. নীনাকে এই ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল। ড. নীনা প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এশিয়ান বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। অর্থাৎ তৃণমূলের সংগঠক হিসেবে পার্টিতে তার শক্ত একটি অবস্থান রয়েছে। সামনের নির্বাচন প্রসঙ্গে পোড় খাওয়া এই রাজনীতিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাথে আলাপকালে বলেছেন, ‘এখন নিচে থেকে ওপরে যেতে চাই। এজন্যে ‘সিটি কাউন্সিল এ্যাট লার্জ’ পড়ে লড়তে চাচ্ছি। এখানে যদি ভোটারগণের সমর্থন পাই তাহলে অন্যকিছু ভাববো’।
ড. নীনার এ নির্বাচনে মাঠে নেমেছে একটি টিম। তাকে গড়তে হবে তহবিল। তহবিল যত মজবুত হয়, বিজয়ের পথও সুগম হয়-এটাই মার্কিন নির্বাচনী ময়দানের সহজ হিসেব। অর্থাৎ ক্যাম্পেইন ফান্ড বিশাল হওয়ার অর্থ দাঁড়ায় বহু মানুষ তার পক্ষে মাঠে নেমেছেন। এ অবস্থায় কম্যুনিটির সকলের উচিত হবে ড. নীনার তহবিল গঠনে সক্রিয় হওয়া।
১৭ আসনের সিটি কাউন্সিলের নির্বাচন হবে আগামী ৭ নভেম্বর অর্থাৎ সিটি মেয়রের নির্বাচনের সাথে। ‘সিটি কাউন্সিল এ্যাট লার্জ’র ৭ আসনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মমোনয়নযুদ্ধে অবতীর্ণ হবার ঘোষণা ইতিমধ্যেই আরও দিয়েছেন ফিলাডেলফিয়ার ‘এডুকেশন পলিসি’র পরিচালক মাইকেল গ্যালভেন, বর্তমান কাউন্সিলর ক্যাথারিন গিলমোর রিচার্ডসন, কম্যুনিটি অর্গানাইজার টেরিল হেইগলার, বর্তমান কাউন্সিলর জিম হ্যারিটি, কম্যুনিটি অর্গানাইজিং এক্সিকিউটিভ এমান্ডা ম্যাকলিমুরে, সাবেক এক কাউন্সিলওে চিফ অব স্টাফ এরিন স্যান্টামুর এবং বর্তমান কাউন্সিলর আইসাইয়া থমাস।