কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনা করা রেফারি সাইমন মার্চিনিয়াকের একহাত নিয়েছেন ফ্রান্সের সমর্থকরা। তাদের দাবি, আর্জেন্টিনার প্রথম ও শেষ গোলটি ‘অনৈতিক’। এ নিয়ে তারা অনলাইনে প্রায় ২ লাখ সইয়ের পিটিশনও করেছে।
ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪–২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। যেখানে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচটি ৩–৩ গোলে সমতায় ছিল। তবে আর্জেন্টিনার পাওয়া প্রথম পেনাল্টি গোলে পোলিশ রেফারি মার্চিনিয়াকের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানানো হয়।
পরে এ নিয়ে খোদ রেফারি সাইমন মার্চিনিয়াক কথা বলেছিলেন। তিনি জানান, এমবাপ্পে যখন দ্বিতীয় গোলটি করে দলকে সমতায় ফিরিয়েছিল তখন ফ্রান্সের অতিরিক্ত সাত ফুটবলার মাঠে ছিলেন। নিজের মুঠোফোনে ম্যাচের একটি ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বলব ফরাসি সংবাদমাধ্যমটি বোকার মতো কাজ করেছে। কিছু জিনিস তাদের চোখ এড়িয়ে গেছে। আমাদের কাছে এমন একটি ছবি আছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ফ্রান্সের গোলের সময় ওদের সাতজন বদলি খেলোয়াড় মাঠে ঢুকে পড়েছিল।’
এবার রেফারি মার্চিনিয়াকের পাশে দাঁড়ালেন ফাইনালে ভিডিও অ্যাসিসটেন্ট রেফারি (ভিএআর) কর্মকর্তা টমাজ কোয়াইয়াটাকোস্কি। তিনি জানান, তার ভিএআর দল অনেক কঠিন সিদ্ধান্তগুলো ভালোভাবে সামাল দিয়েছেন।
টমাজ জানান, ম্যাচে ৬টি গোল হয়, যেখানে অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। আরএমসি স্পোর্টকে তিনি বলেন, ‘ম্যাচে তিনটি পেনাল্টি গোল হয়। যা রেফারি খুব দারুণভাবে সিদ্ধান্ত গুলো দেন। আপনি যখন উষ্ণ চেয়ারে বসবেন, বিয়ার পান করবেন ও চিপস খাবেন, তখন সবকিছু অনেক সহজ মনে হবে। তিনি ফাইনালে তার বিরুদ্ধে সব সমালোচনার জবাব দিয়েছেন।’
টমাজ আরও বলেন, ‘তারা যেসব বিষয়ে অভিযোগ করছে, আমি সেই সব সম্ভাব্য বিষয় খুতিয়ে দেখেছি। আমরা ছোট সংখ্যা ও ছোট ইঙ্গিতগুলোও ভালোভাবে দেখেছি।’