প্রেমিকার সঙ্গে ফেসবুক লাইভে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক যুবক।
নোয়াখালীর ছেলে আজমান হোসেন প্লাভন (২২) অবৈধ পথে যুক্তরাষ্ট্র আসেন প্রায় এক বছর আগে।
যুক্তরাষ্ট্র আসার পর তিনি ম্যানহাটনের আপটাউনে সাবওয়েতে কাজ করতেন। গত ৩০ জানুয়ারি ভোর অনুমানিক ৪.০০ টার সময় নিজের কর্মস্থলে ফেসবুকে কথিত প্রেমিকার সঙ্গে লাইভে আজমান আত্মহত্যা করে। আজমানের ভাই ফারুক রহমান এই আত্মহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেন।
দেশে অবস্থানরত সুমি আক্তার নামের মেয়ের সাথে অনেকদিন থেকে সম্পর্ক ছিল আজমানের।
আজমানের ফেসবুকে সুমি আক্তার নামের মেয়ের সঙ্গে অনেক ভিডিও চ্যাট, টিকটিক ভিডিও এবং মারা যাওয়ার আগে অনেক হতাশার স্ট্যাটাসও পাওয়া যায়।
আজমানের জানাজা আগামীকাল শনিবার বাদ ফজর সকাল ৬:০০ টায় (Manhattan / 3AV/ 96st)।
এদিকে আজমানের মৃত্যুতে নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকে এই মৃত্যুর কারণ বর্তমানে ইউটিউব, সোশ্যাল মিডিয়াতে মিউজিক ভিডিওকে দায়ী করেন। অনেক অভিভাবক নিজ সন্তানদের কথা চিন্তা করে আতংকে আছে। এই ঘটনায় স্থানীয় বিভিন্ন পেশার মানুষ মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
সচেতনমহল মনে করেন, বর্তমানে ইউটিউব, সোশ্যাল মিডিয়াতে গানে, শর্ট ফিল্মে আত্মহত্যার চিত্র দেখানো হয় বেশি। আর এর কারণেই তরুণ-তরুণীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।