নিউইয়র্কে জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা, ইনক এর নিজস্ব ভবন উদ্বোধন হয়েছে ৮ জানুয়ারি রোববার। এতে প্রবাসী সিলেটবাসীসহ কমিউনিটির বিপুল সংখ্যক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু অনুপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি বদরুল খানসহ কমিটির অধিকাংশ নির্বাচিত সদস্য। ভবনকে ব্যক্তি মালিকানাধীন অভিহিত করে জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনক’র ভবনের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সভাপতি বদরুল খানসহ কমিটির ১৩ সদস্য। জালালাবাদ ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শওকত আলী, মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, ফকরুল ইসলাম দেলোয়ার, রানা চৌধুরী, জুনেদ খান, খলিল আহমেদ, আসাদ উদ্দীন, শেফাজ, শেখ জামাল, হাজি এনাম, এম এন মজুমদার, এ এফ এম জামান, এম এ করিম, আতাউল খান আসাদ, আব্দুল জব্বার, মাসুক মিয়া, পংকি মিয়া, মাওলানা সাইফুল আলম সিদ্দিকী, রুমানা আহমেদ, মনির আহমেদ, জালাল আহমেদ, শাহ মিজান, ফারুক শামীম, মোদাব্বির হোসেন, আব্দুল রাজা, হাজি আব্দুল জব্বার, শামসুল ইসলাম ও আযম চৌধুরী। এদিকে রোববার ৮ জানিয়ারিতে জালালাবাদ ভবন এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেয়। তারা এ ভবন ক্রয়ের জন্য বর্তমান সাধারন সম্পাদক মইনুল ইসলামকে ধন্যবাদ জানান। তারা বলেন, জালালাবাদ এসোসিয়েশন যতদিন থাকবে, মইনুলের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সাধারন সম্পাদক মইনুল ইসলাম বলেন, এই ভবনের মর্টগেজ মাসে সাড়ে ৫ হাজার ডলার। ২টি ফ্লোর থেকে ভাড়া পাচ্ছি/পাবো মাসে সাড়ে ৬ হাজার ডলার। এ দিক থেকে আমরা লাভে আছি। ভবনের ওয়াকিং বেজমেন্ট সংগঠনের অফিস হিসেবে ব্যবহার হবে। জালালাবাদ ভবন চলবে নিজস্ব আয় থেকেই। বেজমেন্টের এই অত্যাধুনিক হল রুমটি দেখছেন তা সিলেটের ১১টি উপজেলাবাসীর জন্য উন্মুক্ত। তারা বিনা পয়সায় এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
জানা যায়, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক কমিটির সভাপতি হেলাল চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শেফাজ ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলামের প্রচেষ্টায় কুইন্সের এস্টোরিয়ায় প্রায় সাড়ে ৮ লাখ ডলারে ভবনটি ক্রয় করা হয়। এ ভবন ক্রয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান মইনুল ইসলামের। এটি তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও ছিল। প্রবাসী সিলেটবাসীরা মনে করেন তার চেষ্টাতেই এ ভবন কেনা সম্ভব হয়েছে।
কিন্তু মইনুল ইসলামের এই অবদান বা প্রষ্টোকে আমলে নিচ্ছেন না তারই কমিটির অধিকাংশ সদস্য। ভবনকে ব্যক্তি মালিকানাধীন অভিহিত করে জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনক’র ভবনের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়ে রোববার বিবৃতি দিয়েছেন সভাপতি বদরুল খানসহ কমিটির অধিকাংশ সদস্য। তারা বলছেন, মইনুল তার কয়েকজন অনুসারিদের নিয়ে করপোরেশন করে নিজেদের নামে বাড়ি কিনেছেন। এটি জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সম্পত্তি নয়। এ ব্যাপারে সভাপতি বদরুল খানসহ অধিকাংশ কার্যকরি কমিটির দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবন জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনক’র ভবন নয়। ভবনের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানাচ্ছে জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনক। সংগঠনটির সভাপতি বদরুল হোসেন খান, সহ-সভাপতি মোঃ লুকমান হোসেন লুকু (সিলেট), সহ-সভাপতি মোঃ শফিউদ্দিন তালুকদার শফি (হবিগঞ্জ), সহ-সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলিম, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক ফয়সাল আলম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হোসেন আহমেদ, ক্রীড়া সম্পাদক মান্না মুনতাসির, আইন ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক জাহিদ আহমেদ খান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সুতিপা চৌধুরী, কার্যকরী সদস্য শামীম আহমেদ (সুনামগঞ্জ জেলা) ও দেলোয়ার হোসেন মানিক (হবিগঞ্জ) এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রস্থ জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নিজস্ব কোন ভবন নেই। বর্তমান কার্যকরী কমিটি, প্রাক্তন কার্যকরী কমিটি কিংবা উপদেষ্টা পরিষদ কারো দ্বারা এ ধরনের প্রক্রিয়ায়ও গ্রহণ করা হয়নি। কতিপয় ব্যক্তিবর্গ তাদের নিজস্ব নামে ক্রয়কৃত ভবনকে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের ভবন হিসেবে পরিচিতি দিতে প্রাণান্ত প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে বলে আমরা জ্ঞাত হয়েছি। আমরা জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনক এর কার্যকরী কমিটি এ ধরনের হীন উদ্দেশ্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ ধরনের অযাচিত উদ্যোগ প্রবাসী বৃহত্তর সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত সুশৃংখল ও ঐতিহ্যবাহী মানবিক সংগঠনকে বিতর্কিত এবং বিশৃঙ্খল সংগঠনে পরিণত করার স্বার্থান্বেষী অপচেষ্টা বলে মনে করি। কোন অপশক্তি দুষ্টচক্র কর্তৃক বৃহত্তর সিলেটবাসীর ঐক্য- সংহতির প্রতীক, বিশ্বময় সমাদৃত এ মহতি সংগঠনের নামে অপপ্রচার থেকে সাবধানতা ও দূরত্ব বজায় রাখতে আমরা সংশ্লিষ্ঠ সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি।”