বৃষ্টি, তুষারপাত এবং প্রবল বাতাস নিয়ে আসা ঝড়ে শনিবার ক্যালিফোর্নিয়া নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে।
আগামী সপ্তাহে কিছুটা স্বস্তি এলেও সপ্তাহান্তে দু’টি ঝড় একত্রে ক্যালিফোর্নিয়ায় আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস। এর মধ্যে প্রথমটি উপকূলে আরো ভারী বৃষ্টিসহ আঘাত হানতে পারে।
গত ২৬ ডিসেম্বরের পর থেকে গোল্ডেন স্টেটে বায়ুমণ্ডলীয় প্রবাহগুলো এমনভাবে খুব কমই আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। তাছাড়া বন্যা, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ভূমিধস ও সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে এই অবস্থায়।
পাওয়ারআউটেজ ইউএস জানিয়েছে, শনিবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ হাজারেরও বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎহীন ছিলেন।
ঝড়ের কারণে সেন্ট্রাল ভ্যালিতে গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের অর্ধেক এবং পাহাড়ে ৪.৫ মিটার তুষারপাত হয়েছে।
শনিবার রাজ্য জুড়ে বন্যা সংক্রান্ত সতর্কতা জারি করা হয়। হাজার হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে এ সংক্রান্ত পরামর্শ কার্যকর করা হয়।
মধ্য ক্যালিফোর্নিয়ার ফেল্টনের সান্তা ক্রুজ কাউন্টি কমিউনিটির একটি পাড়া এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো এবং বছরের শুরু থেকে এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো প্লাবিত হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত দুই বছরে দাবানলের চেয়েও বেশি প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এই আবহাওয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার ক্যালিফোর্নিয়ার জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তীব্র শীতকালীন ঝড়, বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে রাজ্য, আদিবাসী ও স্থানীয়ভাবে পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার পরিপূরক হিসেবে ফেডারেল সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন বাইডেন।
সিয়েরা নেভাদার পর্বতমালায় ভারী তুষারপাত এবং প্রবল বাতাসের কারণে কিছু এলাকায় রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার ঝড়গুলো প্রশমিত হলেও এই অঞ্চলের খরার সমাধান হয়নি।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা